ঢলের পানি প্রবাহে বাধা, শুস্কু মৌসুমে সেচ সংকট 

শফিউল আলম, রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ রাউজান খাল ভরাট হয়ে যাওয়ায় বর্ষার মৌসুমে পাহাড়ী ঢলের শ্রোতে পানি প্রবাহে বাধা, শুস্কু মৌসুমে সেচ সংকট হওয়ায় বোরা ধান ও সব্জি ক্ষেতের চাষাবাদ ব্যহত। পাবর্ত চট্টগ্রামের কাউখালী উপজেলার পাহাড়ী এলাকা থেকে শুরু হওয়া রাউজান খাল। রাউজান পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের রাউজান রাবার বাগান, ঢালার মুখ, পুর্ব রাউজান, পশ্চিম রাউজান, রশিদর পাড়া, কেউটিয়া, খলিলাবাদ, মঙ্গলখালী, পশ্চিম কদলপুর হয়ে প্রবাহিত রাউজান খাল মঙ্গলখালী খালের সাথে মিলিত হয়েছে । এক সময়ে হালদা নদী হয়ে কাগতিয়া খাল হয়ে মঙ্গলখালী খাল হয়ে রাউজান খালের মধ্যে দিয়ে মালামাল বোঝাই নৌকা সাম্পান চলাচল করতো । পাহাড়ী এলাকা থেকে উজানের পানি নেমে আসত রাউজান খাল দিয়ে । নিচু থেকে জোয়ারের পানি আসত খলিলাবাদ এলাকা পর্যন্ত । বর্ষার মৌসুমে প্রবল বর্ষন হলে পাহাড়ী ঢলের শ্রোতের পানি রাউজান খাল দিয়ে নেমে যেতে দ্রুত । রাউজান খালটি কেউটিয়া এলাকা থেকে শুরু হয়ে খলিলাবাদ, পশ্চিম কদলপুর, মঙ্গলখালী খালের মোহনা পর্যন্ত ভরাট হয়ে পড়েছে । রাউজান খাল ভরাট হয়ে যাওয়ায় বর্ষার মৌসুমে পাহাড়ী ঢলের শ্রোতের পানি প্রবাহিত হতে বাধাপ্রাপ্ত হয়ে বিভিন্ন এলাকা জলবদ্বতা সৃষ্টি হয়ে এলাকার বাসিন্দ্বাদের ঘরবাড়ী পানিতে ডুবে যায় । এছাড়া সড়ক পানিতে ডুবে গিয়ে সড়কের ক্ষতি হয় । শুস্ক মৌসুমে খাল বরাট হয়ে যাওয়ায় খালে পানি না থাকায় সেচের পানির অভাবে সব্জি ক্ষেত ও বোরো ধানের চাষাবাদ ব্যহত হয়ে আসছে বলে পশ্চিম কদলপুর এলাকার কৃষক নুরুল আলম জানান । ভরাট হয়ে যাওয়া রাউজান খাল খনন করা হলে এলাকার মানুষের দুভোর্গ লাঘব হবে । শুস্ক মৌসুমে খালের পানি সেচের মাধ্যমে ব্যবহার করে এলাকার কৃষকেরা সব্জি ক্ষেত ও বোরো ধানের চাষাবাদ করতে পারবে বলে কৃষক জাহাঙ্গীর আলম দাবী করেন । এলাকার কৃষকেরা ভরাট হয়ে যাওয়া রাউজান খাল খনন করে মানুষের দুভোর্গ লাঘব করার জন্য সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের সহায়তা কামনা করেন । রাউজান খাল ভরাট হওয়া প্রসঙ্গে ৭নং রাউজান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিএম জসিম উদ্দিন হিরু বলেন। ভরাট হয়ে যাওয়া রাউজান খাল খনন করা জরুরি । খাল খনন করার জন্য কোন বরাদ্ব বা কোন প্রকল্প না পাওয়ায় ভরাট হয়ে যাওয়া রাউজান খাল খনন করা সম্ভব হয়নি ।