খুলনায় তিন প্রতিষ্ঠান থেকে মজুত করা ২ লাখ ৩৬ হাজার ৬৪০ লিটার সয়াবিন ও পামঅয়েল উদ্ধার করেছে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় তিন প্রতিষ্ঠানকে এক লাখ ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া ১০টা থেকে অভিযান শুরু হয়ে দুপুর সোয়া ১২টা পর্যন্ত চলে। ওই তিন প্রতিষ্ঠান থেকে উদ্ধার করা তেলের মধ্যে ৭৩ হাজার ৩২ লিটার সয়াবিন ও ১ লাখ ৬৩ হাজার ৬০৮ লিটার পাম তেল রয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে র্যাব-৬ এর পুলিশ সুপার আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাাম বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পেরে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় তিনটি প্রতিষ্ঠানে ৭৩ হাজার ৩২ লিটার সয়াবিন ও ১ লাখ ৭৩ হাজার ৬০৮ লিটার পাম ওয়েল মজুতের প্রমাণ মিলেছে। এ কারণে তিন প্রতিষ্ঠানকে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তিনি বলেন, সরকরি নিয়মনীতি উপেক্ষা করে খুলনার ব্যবসায়ীরা বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করছেন। যাতে ভবিষ্যতে এ সংকট তারা তৈরি না করতে পারেন তাই তাদের জরিমানা করা হয়েছে। জনস্বার্থে অভিযান অব্যাহত থাকবে।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দেবাশীষ বসাক বলেন, অভিযানে সোনালী এন্টারপ্রাইজে ২৬ হাজার ৭৮০ লিটার সয়াবিন ও ৩১ হাজার ৮০০ লিটার পাম অয়েল মজুত পাওয়া যায়। এর দায়ে প্রতিষ্ঠানটির স্বত্বাধিকারী প্রদীপ সাহাকে ৯০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়
সাহা ট্রেডার্সে ৩১ হাজার ৬০০ লিটার সয়াবিন ও ৬৩ হাজার ৩০০ লিটার পাম অয়েল তেল মজুত পাওয়া যায়। এর দায়ে প্রতিষ্ঠানটির স্বত্বাধিকারী দিলিপ কুমার সাহাকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া রণজিত বিশ্বাস অ্যান্ড সন্সে ৯ হাজার ৫৮০ লিটার সয়াবিন ও ৫৯ হাজার ৫৬০ লিটার তেল মজুত পাওয়া যায়। এর দায়ে প্রতিষ্ঠানটির স্বত্বাধিকারী অজিত বিশ্বাসকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানার পাশাপাশি সঠিক মূল্যে তেল বিক্রির জন্য তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
