অপরিপক্ক আম বাজারজাত করছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী, এখনও প্রায় দেড় সপ্তাহ বাকি

মধুমাস জ্যৈষ্ঠ আসতে এখনও প্রায় দেড় সপ্তাহ বাকি। তবে ‘রাজশাহী’র নামে এরই মধ্যে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের অনেক জেলায় মিলছে টকটকে পাকা আম!

তবে রাজশাহীর আম নামেনি এখনও। কিছু আগাম জাতের আটি আম অপরিপক্ক অবস্থায় নামিয়ে বাজারজাত করছেন কিছু অসাধু ব্যবসায়ী।
এই অসাধু ব্যবসায়ীদের রুখতেই গেল চার বছর থেকে রাজশাহীতে নিয়ম মেনে গাছ থেকে আম নামানোর সময় বেঁধে দিচ্ছে রাজশাহী জেলা প্রশাসন।

এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না। রাজশাহীর সুস্বাদু সব আম কবে কোনটা নামানো যাবে এবং নিশ্চিন্তে তার স্বাদ নেওয়া যাবে তা জানা যাবে বৃহস্পতিবার (১২ মে)।

গাছ থেকে পরিপক্কভাবে বাহারি জাত ও নামের আম নামানোর ব্যাপারে বৃহস্পতিবার (১২ মে) আগামীকাল জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

সেখান থেকেই জানা যাবে কখন ও কবে বাজারে আসবে রাজশাহীর পাকা আম। তাই রাজশাহীর আম নিয়ে বছর জুড়ে যারা অপেক্ষার প্রহর গুনছেন তাদের সেই অপেক্ষা শেষ হতে চলেছে। আমের রাজধানী জমে উঠতে যাচ্ছে জমজমাট ব্যবসা।

রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. আলিম উদ্দিন জানিয়েছেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে রাজশাহীর জাত আম খ্যাত সুমিষ্ট গোপালভোগ চলতি মাসের ১৮ থেকে ২০ তারিখের মধ্যেই বাজারে আসবে।

রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. মোজদার হোসেন বলেন, রাজশাহীর আম নামানোর মৌসুমি ক্যালেন্ডার তৈরি করতে বৃহস্পতিবার (১২ মে) জেলা প্রশাসন, ফল গবেষণা কেন্দ্র এবং আমচাষিসহ সংশ্লিষ্টদের সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হবে। ওই সভায় সবাই মিলে ‘ম্যাংগো ক্যালেন্ডার’ অর্থাৎ আম পাড়ার সময় নির্ধারণ করবেন। কোন আম কবে পরিপক্ক হবে এবং চাষিরা কোন আম কবে নামাতে পারবেন সবকিছুই জানিয়ে দেওয়া হবে ওই সভায়। আর সেই অনুয়ায়ী আম নামানো শুরু হবে।

রাজশাহীর জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. আব্দুল জলিল জানান, রাজশাহীর আম সারাদেশে তো বটেই গোটা বিশ্বেই সমাদৃত। তাই কোনো অবস্থাতেই এর সুনাম ক্ষুণ্ন করা যাবে না। মৌসুমি এই সুমিষ্ট রসালো ও জনপ্রিয় সুস্বাদু ফল সময় মেনেই পরিপক্কভাবে গাছ থেকে নামাতে হবে। কোনোভাবেই জেলা প্রশাসনের বেঁধে দেওয়া সময়ের বাইরে গাছ থেকে নামানো যাবে না। তবে ক্ষেত্র বিশেষ ম্যাংগো ক্যালেন্ডারের আগেই কারও গাছের আম পরিপক্ক হয়ে গেলে তা সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং কৃষি কর্মকর্তাকে অবহিত করার মাধ্যমে নামানো যাবে। সমন্বয় সভায় এসব বিষয় আরও সুষ্পষ্ট করে নির্দেশনা দিয়ে দেওয়া হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

এদিকে রাজশাহীতে এ বছর ১৮ হাজার হেক্টর জমিতে থাকা বাগান থেকে দুই লাখ ১৬ হাজার মেট্রিক টন আম উৎপাদন হবে বলে আশা করা হচ্ছে।