রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে ফিলিপাইন-আসিয়ানের সমর্থন চান পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী

রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসনে ফিলিপাইন ও আসিয়ানের সক্রিয় সমর্থন কামনা করেছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। বাংলাদেশে ফিলিপাইনের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত অ্যালান এল ডেনিগার সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এই সমর্থন প্রত্যাশা করেন।
 
 
বুধবার ( ১১ মে) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানায়।
 
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এই বৈঠকে প্রতিমন্ত্রী ফিলিপাইনের নতুন রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানান এবং বাংলাদেশে তার মিশন বাস্তবায়নে সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তা ও সহযোগিতার আশ্বাস দেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন, ঢাকায় তার মেয়াদকালে বাংলাদেশ-ফিলিপাইন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে।
 
প্রতিমন্ত্রী ১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারিতে স্বাধীন বাংলাদেশকে ফিলিপাইনের স্বীকৃতি দেওয়ার কথা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন, কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে উষ্ণ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও গতি পাবে।
 
প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ কৌশলগতভাবে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলে অবস্থিত হওয়ায় আসিয়ান সদস্য দেশগুলোর সঙ্গে তার সম্পর্ক আরও জোরদার ও গভীরতর করার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
 
তিনি আসিয়ান সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনারের বাংলাদেশের সদস্য পদে ফিলিপাইনের সমর্থন চান। ফিলিপাইনের রাষ্ট্রদূত প্রতিমন্ত্রীকে তাদের পূর্ণ সমর্থনের আশ্বাস দেন। এ বিষয়ে বাংলাদেশকে ত্বরান্বিত করার জন্য কিছু পদক্ষেপ ও প্রক্রিয়ার পরামর্শ দেন।
 
বৈঠকে প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম মানবিক কারণে বাংলাদেশে অস্থায়ীভাবে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের দুর্দশার কথা তুলে ধরেন। মিয়ানমারে তাদের দ্রুত প্রত্যাবাসনের জন্য ফিলিপাইন ও আসিয়ানের সক্রিয় সমর্থন কামনা করেন। স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা পরিস্থিতির ওপর এই অতিরিক্ত ১১ লাখ মানুষের চাপের কথাও তিনি উল্লেখ করেন।
 
বৈঠকে প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম মহামারির প্রভাবে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা, মুদ্রাস্ফীতি এবং বৈশ্বিক সাপ্লাই চেইন বিঘ্নিত হওয়ার পাশাপাশি এই অঞ্চলের বৃহত্তর ঐক্য, সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টা ও সমন্বয়ের গুরুত্বের ওপর জোর দেন।
 
প্রতিমন্ত্রী উল্লেখ করেন, ফিলিপাইনের মানবসম্পদ প্রশিক্ষণ, নার্সিং এবং স্বাস্থ্য-সংক্রান্ত সেবা খাত, পর্যটন শিল্প, কৃষি প্রক্রিয়াকরণ ইত্যাদি ক্ষেত্রে অসাধারণ দক্ষতা রয়েছে। বাংলাদেশ তাদের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিতে পারে। এছাড়াও তিনি ফিলিপাইনের বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের বিষয়ে উৎসাহিত করেন।