মালয়েশিয়ায় ব্যাপক উৎসাহ, উদ্দীপনায় ঈদ উদযাপন

তাজ উদ্দিন জেমি, মালয়েশিয়া প্রতিনিধি::  মালয়েশিয়ায় ব্যাপক উৎসাহ, উদ্দীপনা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যর মধ্য দিয়ে মালয়েশিয়ায় উদযাপিত হচ্ছে মুসলমানদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশটিতে অবস্থানরত প্রবাসীরাও এই ঈদ উৎসবে শরিক হয়েছেন।

পবিত্র রমজান মাসে সিয়াম সাধনার পর মুসলিম সম্প্রদায় যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন করেছেন এ উৎসব। করোনা মহামারীর কারণে বিগত দুটি বছর দেশটিতে সবাইকে ঘরোয়া ভাবেই কাটাতে হয়েছে ঈদ। তাই এবারের ঈদ আনন্দ সকলের কাছে একটু ভিন্ন। সকলের মাঝেই ব্যাপক উৎসাহ, উদ্দীপনা লক্ষ্য করা গেছে ।

মালয়েশিয়ায় ঈদ-উল-ফিতর উদযাপন হচ্ছে। মসজিদে মসজিদে ঈদ জামাতে মুসল্লিদের ঢল নেমেছে। সোমবার স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৮টার দিকে দেশটির জাতীয় মসজিদ নেগারায় অনুষ্ঠিত হয়েছে সবচেয়ে বড় ঈদ নামাজ।

নামাজ শুরুর আগেই মুসল্লিদের আগমনে কানায় কানায় ভরে ওঠে মসজিদ প্রাঙ্গণ। শুরুতেই বয়ান পেশ করেন জাতীয় মসজিদ নেগারার প্রধান ইমাম তুন হাজী এহসান বিন মোহাম্মদ হোসনি।

মহামারি করোনার কারণে গত দুই বছর সরকারের বিধিনিষেধে থাকায় ঈদ আনন্দ ছিল নিষ্প্রাণ। তবে এবারের ঈদের নামাজে স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে মুসল্লিরা অংশ নিয়েছেন। এদিন দেশটির প্রতিটি মসজিদে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। কুয়ালালামপুরের টিটিওয়াংসা বায়তুল মোকাররম মসজিদের পাশে বাংলাদেশিদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত ঈদের নামাজ পরিচালনা করেন মাওলানা মুফতি রেজাউল হক।

সোমবার স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৮টায় রাজধানী কুয়ালালামপুরে জাতীয় মসজিদ নেগারায় সবচেয়ে বড় জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
মসজিদ নেগারায় ঈদের নামাজে অংশ দেশটির বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ।

ঈদুল ফিতরের জামাতে শরিক হতে স্থানীয়দের পাশাপাশি শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসেন প্রবাসীরাও। তবে প্রতিটি মসজিদেই প্রবাসীদের উপস্থিতি ছিলো লক্ষণীয়।

নামাজ শেষে একে অপরের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। অনেকে দেশে ফোন করে স্বজনদের সঙ্গে কুশলাদি বিনিময় করেন।

এদিকে ঈদকে কেন্দ্র করে এবার মালয়েশিয়ার বাংলাদেশি রেস্তোরাঁগুলোতে থাকছে নানা ধরণের মুখরোচক খাবারের ব্যাপক আয়োজন।
ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোঃ গোলাম সারওয়ার দেশটিতে বসবাসরত সকল বাংলাদেশিদের ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

এছাড়াও চৌকিট বাংলাদেশি মসজিদ বায়তুল মোকাররম, কোতারায়া বাংলা মসজিদ, বুকিট বিনতাং বাংলাদেশি মসজিদ, সুবাংজায়া বাংলাদেশি মসজিদ, শ্রীমুডা বাংলাদেশি মসজিদ, ক্লাং, পেনাং, সুঙ্গাইবুলু, পুচং, মালাক্কা, পেনাং, জহুরবারু প্রদেশের বাংলাদেশি অধ্যুষিত এলাকা গুলোতে শত শত প্রবাসী বাংলাদেশীদের অংশগ্রহণে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়।