অবাধে কৃষি জমিতে মাটি ভরাট 

শফিউল আলম, রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ রাউজান উপজেলার ১১ নং পশ্চিম গুজরা ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের মহাজন পাড়া এলাকায় এলাকার একটি মাটি খেকো সিন্ডিকেটের সদস্যরা রাতের আধারে এসকেভেটার দিয়ে কৃষি জমি থেকে গভীর ভাবে মাটি খনন করে । কৃষি জমি থেকে গভীর ভাবে খনন করা মাটি ড্রাম টাক ভর্তি করে পশ্চিম গুজরা ইউনিয়নের মহাজন পাড়া, বড়ুয়া পাড়া, বদুমুন্সি পাড়া, মগদাই, আবুল খীল, ডোমখালী, কাগতিয়া , পশ্চিম আধার মানিক এলাকায় নিয়ে গিয়ে কৃষি জমি ভরাট, পুকুর জলাশয় ভরাট করেন । সরকারের নিধের্শনা অমান্য করে কৃষি জমি থেকে এসকেভেটার দিয়ে মাটি খনন করে নিয়ে যাওয়া। রাতের আধারে কৃষি জমিতে মাটি ভরাট করা হলে ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসন নিরবতা পালন করছে রহস্যজনক ভাবে । রাউজানের পশ্চিম গুজরা ইউনিয়নের কাগতিয়া, কাসেম নগর, বিনাজুরী ইউনিয়নের পশ্চিম বিনাজুরী, রাউজান উপজেলার ১নং হলদিয়া ইউনিয়নের উত্তর সর্তা এলাকায় উত্তর সর্তা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উত্তর পাশে বিপুল আয়তনের কৃষি জমি ও কৃষি জমি দিয়ে পানি চলাচলের রাস্তা মাটি ভরাট করেছে এলাকার এক প্রভাবশালী ব্যক্তি । রাউজানের প্রতিদিন রাতেই পাহাড়ী এলাকার কৃষি জমি থেকে এসকেভেটার দিয়ে মাটি খনন করে ড্রাম ট্রাক ভর্তি করে রাউজান – হাটহাজারীর বিভিন্ন এলাকায় সড়কপথে নিয়ে গিয়ে কৃষি জমি ভরাট, পুকুল জলাশয় ভরাট করে ঘর বাড়ী, ব্যবসা প্রতিষ্টান নির্মান করা হচ্ছে । রাউজানের পশ্চিম গুজরা ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডেও মহাজন পাড়া এলাকায় কৃষি জমি থেকে এসকেভেটার দিয়ে মাটি খনন করে ড্রাম ট্রাক ভর্তি করে মাটি বিক্রয় প্রসঙ্গে মাটি খেকো সিন্ডিকেটের সদস্য রুনু বড়ুয়াকে ফোন করে জানতে চাইলে, রুনু বড়ুয়া মাটি কাটার সাথে জড়িত নয় বলে দাবী করে বলেন, আমার মোবাইল ফোন নম্বর অপনাকে কে দিয়েছে । পরপর পশ্চিম গুজরা ইউনিয়নের মেম্বার আবদুল মান্নানকে ফোন ধরিয়ে দেয়। পশ্চিম গুজরা ইউনিয়নের মেম্বার আবদুল মান্নান বলেন, কৃষি জমি থেকে মাটি খনন করার সংবাদ প্রকাশ করে ঝামেলা করবেনা বলে ফোন কেটে দেয় । এ ব্যাপারে পশ্চিম গুজরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাহাবু উদ্দিন আরিফকে ফোন করে কৃষি জমি থেকে গভীর ভাবে মাটি খনন ও কৃষি জমি ভরাট করা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে, চেয়ারম্যান সাহাবুউদ্দিন আরিফ বলেন, মহাজন পাড়া এলাকায় মাটি কাটার সংবাদ পেয়ে আমি কৃষি জমি থেকে মাটি কাটা বন্দ্ব করে দিয়েছি । রাউজানের উত্তর সর্তা এলাকায় কৃষি জমিতে রাতের আধারে শত শত ড্রাম টাক দিয়ে মাটি ভরাট করা প্রসঙ্গে হলদিয়া ইউনিয়নের চেয়ানরম্যান শফিকুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে, চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম বলেন, রাতের আধারে শত শত ড্রাম ট্রাাকে করে মাটি এনে উত্তর সর্তা এলাকার এক গামেন্টস ব্যবসায়ী শিাল আয়তনের কৃষি জমি ও পানি চলাচলের পথ মাটি ভরাট কলেছে । আমি সংবাদ পেয়ে কৃশি জমিতে মাটি ভরাট করার কাজ বন্দ্ব করে দিয়েছি । কৃষি জমিতে মাটি ভরাট করার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছ থেকে কোন অনুমতি নেয়নি ।