গরমে যা খাবেন, যা খাবেন না

খাবেন কী?

অন্য যেকোনো ঋতুর তুলনায় গ্রীষ্মে পানির চাহিদা থাকে বেশি। প্রতিদিন অন্তত ১০ গ্লাস পানি পান করতে হবে। পাশাপাশি খাবার স্যালাইন, লেবুপানি বা কচি ডাবের পানি পান করতে পারেন। ইসবগুল, তেঁতুল, কাঁচা আম শরীরকে স্নিগ্ধ, শীতল রাখে। চিড়া-কলা-দই, সেদ্ধ ডিম, সেদ্ধ আটার রুটি, পাউরুটি, সাদা সবজি, জেলি, নরম খিচুড়ি, মৌসুমি ফল, স্যুপ, সবজি, সালাদ, টক দই, লেবু–পুদিনাপাতার শরবত ইত্যাদি রাখা যেতে পারে। কাঁচা আম, শসা, লাউ, ঝিঙে, পটোল, কলমিশাক, পাটশাক খেতে পারেন। কেউ কেউ গরমে পান্তাভাত খেতে পছন্দ করেন। এতে শরীর যেমন ঠান্ডা থাকে, তেমনি রোগ প্রতিরোধক্ষমতাও বাড়ে। গ্রীষ্মে প্রচুর পানিযুক্ত ফল, যেমন আম, জাম, তরমুজ, জামরুল, তালশাঁস, বাঙ্গি, পাকা পেঁপে, বেলসহ সারা বছর পাওয়া যায় এমন ফল, ফলের তৈরি স্মুদি ও সবজি খেতে পারেন। সকালে উঠে খেতে পারেন গ্রিন টি। সেখানে যোগ করতে পারেন মধু আর লেবুর রস।

যা খাবেন না
গরমকাল মৌসুমি শরবত ব্যবসায়ীদের সময়! এই সময় রাস্তার মোড়ে মোড়ে শরবত, জুসের বিক্রি বেড়ে যায়। এগুলো পারতপক্ষে খাবেন না। এসবে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি থাকে। একাধিক প্রতিবেদনে দেখা গেছে যে পানি দিয়ে এগুলো বানানো হয়, সেটি মোটেও স্বাস্থ্যকর নয়। মসলাযুক্ত, তৈলাক্ত খাবার বাদ দিন। গরমে ‘রেড মিট’ না খাওয়াই ভালো। কেননা, এসব গুরুপাক খাবারে শরীরের ভেতর তাপ উৎপন্ন করে। তাতে আরও গরম লাগে। চা-কফি শরীরে পানিশূন্যতা তৈরি করে। সে জন্য গরমে চা-কফি কম পান করাই ভালো। শুকনো ফল (ড্রাই ফ্রুটস) না খাওয়াই ভালো। এতে শরীর আরও ডিহাইড্রেটেড হয়ে যেতে পারে। ভাজাপোড়া, পোলাও, বিরিয়ানি, কোল্ড ড্রিংকস বাদ দিন। গরমে ডিমের ভাজি বা পোচ না খেয়ে সেদ্ধ করে খাওয়াটাই উপযুক্ত হবে।