সানব্লক কখন, কীভাবে ব্যবহার করতে হয়

সূর্যের আলো থেকে ত্বকের সুরক্ষায় সানব্লক ব্যবহার করা হয়। বাজারে পাওয়া সবগুলো সানব্লকেই এসপিএফ বা সান প্রটেকশন ফ্যাক্টর লেখা থাকে।

এক সময় থার্টি প্লাস সানব্লক ব্যবহার করা হতো। এখন ফিফটি প্লাস ব্যবহার করা হয়।

এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চর্ম ও যৌন রোগ বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. জাকির হোসেন গালিব।

তিনি জানান, ফিফটি টু হান্ড্রেডের মধ্যে সানব্লক ব্যবহার করতে হবে। সানব্লক ব্যবহারের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, এটি দিনে একবার ব্যবহার করলে সঠিক উপকার পাবেন না।

সাধারণত একবার সানব্লক ব্যবহার করলে তার কার্যকারিতা ১২০ থেকে ১৩০ মিনিট থাকবে। এ সময়ের চেয়ে বেশি সূর্যের আলোতে থাকলে অবশ্যই দিনে একাধিকবার এটি ব্যবহার করতে হবে। ত্বকের ধরন বুঝে সানব্লক ব্যবহার করতে হবে।

ত্বক ওয়েলি বা তৈলাক্ত ধরনের হলে ড্রাই টাইপের সানস্কিন ব্যবহার করলে ভালো ফল পাওয়া যাবে। ড্রাই টাইপের ত্বক হলে ম্যাট সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে। সমুদ্র সৈকতে বেড়াতে গেলে ওয়াটারপ্রুফ সানস্কিন ব্যবহারে ভালো ফল পাওয়া যাবে।

ক্রিকেটাররা যে সানস্ক্রিন ব্যবহার করেন, সেটি ফিজিক্যাল সানস্ক্রিন। আর সাধারণত আমরা যে ধরনের সানব্লক ব্যবহার করি, সেটিকে কেমিক্যাল সানস্ক্রিন বলে। বিভিন্ন বয়সে, বিভিন্ন সময়, বিভিন্ন পেশায় বিভিন্ন ধরনের সানস্ক্রিন ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে। দেশের বাজারে অনেক ধরনের সানস্ক্রিন রয়েছে, এগুলোর রেঞ্জ সাধারণত ফিফটি থেকে হান্ড্রেডের মধ্যে। এগুলো ব্যবহার করলেই হবে। কারণ আমাদের এ অঞ্চলে সূর্যালোকের মান ধরে ৫০-১০০ রেঞ্জের সানব্লকই ব্যবহার করা উত্তম।

শিশুদের জন্য আলাদা ধরনের সানব্লক পাওয়া যায়। বাজারে অসংখ্য ধরনের সানব্লক পাওয়া যায়। একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে যে কোনো বয়সীরা পছন্দের সানব্লক ব্যবহার করতে পারেন। অবশ্যই মুখে ব্রণ আছে কি না, এটি নিলে ব্রণ বাড়বে কি না বিষয়গুলো বিবেচনায় নিতে হবে।