শুভ জন্মদিন নাজিম উদ্দিন এ্যানেল

তারুণ্যের বাতিঘর খ্যাত নাজিম উদ্দিন চৌধুরী এ্যানেলের জম্মদিনে আমাদের শুভেচ্ছা, অভিনন্দন ও শুভ কামনা।

নাজিম উদ্দিন এ্যানেলের জন্মদিনে লেখক-সংগঠক আবদুল্লাহ মজুমদার এর একটি লেখা-

তারুণ্যের বাতিঘর খ্যাত নাজিম উদ্দিন চৌধুরী এ্যানেল ব্যক্তি নয় যেনো একটি প্রতিষ্ঠান! যার নাম, যশ-খ্যাতি শুধু দেশেই নয়,দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশের মাটিও জয় করেছে! চট্টগ্রামে সবচে’ বেশি পরিচিত মুখ নাজিম উদ্দিন চৌধুরী এ্যানেল, যার মানবিক কর্মকাণ্ড তরুণ প্রজন্মের জন্য আদর্শের বাতিঘর হয়ে আছে!
নব্বই দশক থেকেই আমি সংবাদপত্রের একজন পাঠক। সে সময়েও তাকে আমি লেখক হিসেবে চিনতাম। যার কবিতায় গল্পে লেখালেখির অনুপ্রেরণাও পেতাম। তিনি নাজিম উদ্দিন চৌধুরী এ্যানেল ।
২০০০সাল পরবর্তী সময়ে দেশের প্রায় সব পত্রিকায় চোখ রাখলেই নাজিম উদ্দিন চৌধুরী এ্যানেলের লেখা চোখে পড়তো! ৯৬ সালে কবিতার বই দিয়ে কালিও কলমের জগতে প্রবেশ করলেও আজ পর্যন্ত থেকে নেই তিনি!
আমরা অনেকেই মনে করি একজন লেখক,একজন সংগঠক মানে সুঠাম দেহের অধিকারী এমন কেউ একজন। নাহ সেটা ভুল। একজন মানুষ সত্যিকারের বড় হয় তার মেধা মননে। যার বড় দৃষ্টান্ত আজকের নাজিম উদ্দিন চৌধুরী এ্যানেল।
এ্যানেল একজন লেখক, একজন সংগঠক এবং একজন মানবিক মানুষ!
আজকের সমাজে এমন মানুষের সংখ্যা নগন্য।
মানসিক শক্তিটাই হল আসল। তার শারীরিক শক্তি হচ্ছে গৌণ। একজন মানুষকে বিচার করলে অবশ্যই তার মানসিক শক্তি বা মন মানসিকতা দিয়ে বিচার করা জরুরী।
নাজিমউদ্দিন এ্যানেলকে শুধুমাত্র নামেই চিনতাম আমি । ব্যক্তিগত বা ঘনিষ্টভাবে তার সাথে পরিচয় হয় ২০০৭ এর আগস্ট মাসে। আসলে আমি এতোটুকু জানতাম না। হয়তো জানার বা বুঝার চেষ্টা করিনি তার সংস্পর্শ পায়নি বলে।
২৩ জানুয়ারি রাউজানের কদলপুল গ্রামে ঐতিহ্যবাহী চৌধুরী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন এই লেখক। জানা যায় লেখকের শৈশবকাল অতিবাহিত হয়েছে সাতকানিয়া অালো বাতাসে। তাকে শুধু লেখক বললে ভুল হবে। তিনি একাধারে লেখক, সংগঠক সমাজসেবক তথা শিক্ষানুরাগীও। অনেক শিক্ষাও সেবা মুলক প্রতিষ্ঠানের দাতা ও উপদেষ্টা তিনি।
প্রতিদিন তার রেস্টুরেন্টে কত অনাহারী মানুষের মুখে হাসি ফুটে সে খবর অামরা অনেকেই জানি না! গবিবের বন্ধু হিসেবে তার খ্যাতি অনেক দীর্ঘ, বর্ষার জলাবদ্ধতায় কর্মহীন মানুষের মুখে কোমর পানি ডিঙিয়ে তিনি তার সংগঠন বাংলাদেশ ওয়েলফেয়ার সোসাইটির কর্মীদের নিয়ে যে কোন দুর্যোগ ঝাপিয়ে পড়েন।
ঢাকঢোল পিটিয়ে কখনো কোন কিছু করার আগ্রহ তার মাঝে ছিলো না। রাতের অন্ধকারে কাঁধে কম্বল নিয়ে মাইলের পর মাইল হেটে হেটে এই নগরে যিনি শীতার্তদের ভালোবাসা বিতরণ করেন তিনি নাজিম উদ্দিন এ্যানেল।
তারুণ্যের বাতিঘর খাত নাজিম উদ্দিন এ্যানেল চট্টগ্রামের অসংখ্য সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত। নানা ভাবে তাদেরকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন অনেক বছর ধরে।
তার প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ ওয়েলফেয়ার সোসাইটি বহুকাল ধরে কাজ করে যাচ্ছেন মানুষের সেবায়।বিশেষ করে সমাজের অসহায় দরিদ্র ও ছিন্নমূল মানুষদের জন্য তার এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগ সত্যি প্রশংসার দাবিদার। সাংগঠনিকভাবে তিনি দেশে এবং দেশের বাইরে ও সমানভাবে জনপ্রিয়।
বাংলাদেশ ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সাধারণ সম্পদক হিসেবে তাকে একজন সফল সংগঠক বলা যায়। তিনি সক্ষম হয়েছেন দেশের বাইরেও শাখা গঠন করতে। দেশজুড়ে বাংলাদেশ ওয়েলফেয়ার সোসাইটির মানবিক কার্যক্রম চলমান অাছে কেবল তার নিজের অর্থায়নে। কত বড় মনের মানুষ হলে এতো বড় সংগঠন চালাতে পারে?
বাংলাদেশ ওয়েলফেয়ার সোসাইটি ছাড়াও তিনি অনেকগুলো সংগঠনের সাথে জিড়িত। তিনি কমপক্ষে চট্টগ্রামের ১৫ থেকে ২০ টি সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত। এবং প্রতিটি সংগঠনের নানান প্রোগ্রামে তিনি বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন বছরের পর বছর।
তার সাথে দেখা করতে গেলেই আপ্যায়নের কোনো ত্রুটি রাখে না। দুবাই সফরে তাকে সামাজিক ও সাংগঠনিক কাজে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য নানান সংগঠন সংবর্ধনা ও সম্মাননা প্রদান করেন।
একজন পরিচিতজন, স্বজন, বন্ধু হিসেবে এটা আমাদের জন্য গর্বেরও। পরিচিতজন বা স্বজন বলে নয়, তার সাথে যে কেউ সাক্ষাত করতে গেলে সহজে আপ্যায়িত না হয়ে আসতে পারেনি।
রাজনীতি ও প্রচার বিমুখ এ মানুষটি সংগঠন প্রিয়, সংস্কৃতি প্রিয়। তার বড় শখ পৃথিবীকে জানা। প্রচুর ব্যস্ততার মাঝেও মানবিক কাজে তিনি সবার আগে থাকেন,গুণি এই মানুষের জন্মদিনে অকৃত্রিম শুভেচ্ছা।