গাড়িকে থামাতে নিজের জীবন উৎসর্গ করে মনিরুল পেয়েছেন বিপিএম পুরস্কার

সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতি হিসেবে নগরের জাকির হোসেন সড়কের ঝাউতলা রেলগেটের নাজিরহাট থেকে চট্টগ্রাম স্টেশনগামী ডেমু ট্রেনের সঙ্গে গাড়ির সংঘর্ষে গাড়িকে থামাতে গিয়ে দুর্ঘটনায় নিহত চট্টগ্রাম মেট্রাপলিটন পুলিশ (সিএমপি) ট্রাফিক উত্তর বিভাগের কনস্টেবল মনিরুল ইসলামকে (৪০) মরণোত্তর বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম) দেওয়া হচ্ছে। ২০২১ সালে অসীম সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ ১৫ জন পুলিশ সদস্যকে বিপিএম দেওয়া হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব (পুলিশ-২ শাখা) সিরাজাম মুনিরা স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন ট্রাফিক উত্তর বিভাগের উপ কমিশনার (ডিসি) জয়নুল আবেদীন। তিনি বলেন, কোনো মৃত্যুই কাঙ্ক্ষিত নয়, সিএমপি ট্রাফিক উত্তর বিভাগের সাবেক সহকর্মী কনস্টেবল মনিরুল ইসলাম নিজের জীবন উৎসর্গ করে কর্তব্যে অবিচল থেকে প্রমাণ করে গেছেন ‘পুলিশ জনগণের বন্ধু’। বিপিএম সাহসিকতা পদকপ্রাপ্ত হয়ে তিনি চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশ তথা বাংলাদেশ পুলিশকে গর্বিত করে গেলেন। মহান রব তাঁকে ওপারেও সন্মানিত করুন, এ প্রার্থনা করি।

গত ৪ ডিসেম্বর নগরের জাকির হোসেন সড়কের ঝাউতলা রেলগেটের একপাশে লোহার গেট খোলা থাকায় রেললাইনে উঠে যায় বাস, সিএনজি অটোরিকশা ও টেম্পু। এ সময় নাজিরহাট থেকে চট্টগ্রাম স্টেশনগামী ডেমু ট্রেনের সঙ্গে গাড়িগুলোর সংঘর্ষ হয়। এসব গাড়িকে থামাতে গিয়ে দুর্ঘটনায় নিহত হন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) ট্রাফিক উত্তর বিভাগের কনস্টেবল মনিরুল ইসলাম (৪০)। তিনি নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ থানার খোয়াজপুর গ্রামের কেবিএম ফয়েজ হোসেনের ছেলে। তিনি নগরের বায়েজিদ বোস্তামী থানার চন্দননগর এলাকায় পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন।

পুলিশ কনস্টেবল মনিরুল ইসলাম ১৯৭৭ সালে ১৫ এপ্রিল জন্মগ্রহণ করেন। তিনি পুলিশের কনস্টেবল পদে যোগদান করেন ১৯৯৬ সালের ৮ জুন। সিএমপিতে যোগদান করেন ২০১৩ সালের ১৭ জুন। ট্রাফিক উত্তরে যোগদান করেন ২০১৯ সালের ৮ জুন। পুলিশের চাকরি জীবনে মনিরুল ইসলাম কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ ৪৯টি পুরস্কার পান ও চাকরি জীবনে কোনো শাস্তি পাননি।