নর জগৎপুর আশ্রম থেকে দু বোন নিখোঁজ, থানায় অভিযোগ

শফিউল আলম, রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ রাউজান উপজেলার ৯নং পাহাড়তলী ইউনিয়নের জগৎপুর অনাথ আশ্রমে ফটিকছড়ি উপজেলার ভুজপুর হালুয়াছড়ি ইউনিয়নের বারই পাড়া এলাকার পশ্চিম আধার মানিকের রনজিৎ কুমার দে তার দু শিশু কন্যা প্রিয়শ্রী দে (১৪) ও জয়শ্রী দে (১০) কে গত ২৩ ডিসেম্বর ভর্তি করে। প্রিয়শ্রী দে বর্তমানে পাহাড়তলী ইউনিয়নের উনসতবতর পাড়া উনসত্তর পাড়া নবম শ্রেনীর শিক্ষার্থী। জয়শ্রী দে জগৎপুর জগৎপুর আশ্রম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৫ শ্রেনীর শিক্ষার্থী । প্রিয়শ্রী দে ও জয়শ্রী দে এর পিতা রনজিৎ কুমার দে অভিযোগ করে বলেন, তার স্ত্রী রাজশ্রী দে এর সাথে তার সম্পর্কের অবনতি হওয়ায় দু শিশু কন্যাকে দেখাশুনার কেউ না থাকায় দু শিশুকন্যাকে জগৎপুর অনাথ আশ্রমে ভর্তি করি। গত ২০ জানুয়ারী বৃহস্পতিবার দুপুর বারটার সময়ে জগৎপুর অনাথ আশ্রমের সিকিউরিটি শমিত্র চক্রবর্তী রনজিৎ কুমার দে ”কে ফোন করে তার দু মেয়ে অনাথ আশ্রম থেকে চলে গেছে । সিকিউরিটি শমিত্র চক্রবর্তীর ফোন পেয়ে গত ২০ জানুয়ারী বৃহস্পতিবার সন্দ্ব্যা ৬ টার সময়ে রনজিৎ কুমার দে জগৎপুর অনাথ আশ্রমে উপস্থিত হয়ে তার দু মেয়ে প্রিয়শ্রী দে ও জয়শ্রী দে সর্ম্পকে জানতে চাইলে জগৎপুর অনাথ আশ্রমের সিকিউরিটি আশিষ রঞ্জন, শমিত্র চক্রবর্তী, চিত্তরঞ্জন রনজিৎ কুমার দে ”কে তার দু মেয়ে অজ্ঞাত লোকজনের সাথে চলে গেছে জানায়। রনজিৎ কুমার দে জগৎপুর অনাথ আশ্রমের থাকা সিসি, ক্যামেরার ভিডি ফুটেজ দেখাতে বললে,জগৎপুর অনাথ আশ্রমের সিকিউরিটি আশিষ রঞ্জন, শমিত্র চক্রবর্তী, চিত্তরঞ্জন রনজিৎ কুমার দে কে ” অখথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও মারধর করার প্রচেষ্টা চালায় বলে রনজিৎ কুমার দে” এর অভিযোগ করেন। এ ঘটনার পর রনজিৎ কুমার দে গত ২০ জানুয়ারী বৃস্পতিবার রাতেই তার দু শিশু কন্যা প্রিয়শ্যী দে ও জয়শ্রী দে না পাওয়ার বিষয়ে জগৎপুর অনাথ আশ্রমের সিকিউরিটি আশিষ রঞ্জন, শমিত্র চক্রবর্তী, চিত্তরঞ্জন এর বিাবাদী করে রাউজান থানায় অভিযোগ করেন। এ ব্যাপারে সিকিইিরিটি শমিত্র চক্রবর্তীকে ফোন করে জানতে চাইলে,শমিত্র চক্রবর্তী বলেন, দু শিশু কণ্যাকে তার মাতা রাজশ্রী দে আশ্রম থেকে এসে নিয়ে গেছে তার আমাদের কাছে কাগজ রয়েছে । এ ব্যাপারে রাউজান থানার সেকেন্ড অফিসার অজয় দেব শীল বলেন, জগৎপুর অনাথ আশ্রম থেকে দু শিশু কন্যাকে না পাওয়ার পর দু শিশু কণ্যার পিতা রনজিৎ কুমার দে অভিযোগ করেছেন । অভিযোগ তদন্ত করে দু শিশু কন্যাকে উদ্বার করার প্রক্রিয়া চলছে ।