জনসচেতনতা বাড়াতে মাইকিংয়ের কর্মসূচি

করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রথমে জরিমানা ছাড়াই অভিযান পরিচালনা করেছে জেলা প্রশাসন। পরে জনে জনে মাস্ক বিতরণ করেছেন তারা।

এবার জনসচেতনতা বাড়াতে মাইকিংয়ের কর্মসূচি নিয়েছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। এতেও সচেতনতা তৈরি না হলে কঠোর অবস্থানে যাবে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) সকালে চট্টগ্রাম নগরের ৮ পয়েন্টে সিএনজিচালিত অটোরিকশা দিয়ে মাইকিং করছে জেলা প্রশাসন। এ ছাড়াও হ্যান্ডমাইক দিয়ে নগরের বিভিন্ন স্থানে মাইকিং করা হয়েছে।

দুদিন ধরে এ কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। একই কার্যক্রম চলবে আরও কয়েকদিন। মাইকিংয়ে জনসাধারণের উদ্দেশে স্বাস্থ্যবিধি মানতে সরকারের বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে।

নির্দেশনা

১. দোকান, শপিংমল ও বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতা ও হোটেল-রেস্তোরাঁসহ সব জনসমাগমস্থলে সবাইকে বাধ্যতামূলক মাস্ক পরতে হবে।
২. রেস্তোরাঁয় বসে খাবার গ্রহণ এবং আবাসিক হোটেলে থাকার জন্য অবশ্যই করোনা টিকার সনদ দেখাতে হবে।
৩. ১২ বছরের ঊর্ধ্বে সব শিক্ষার্থীকে মন্ত্রণালয় কর্তৃক নির্ধারিত তারিখের পর টিকা ছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না।
৪. সবধরনের যানবাহনের চালক-সহকারীর অবশ্যই করোনা টিকা সনদ থাকতে হবে।
৫. করোনা আক্রান্তের হার ক্রমবর্ধমান হওয়ায় উন্মুক্ত স্থানে সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয়সহ সবধরনের সভা-সমাবেশ পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখতে হবে।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন মোহাম্মদ মমিনুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, প্রথমে আমরা জরিমানা ছাড়া অভিযান পরিচালনা করেছি। যেখানে সবাইকে সচেতন করা হয়েছে। এছাড়াও তাদের মাস্ক বিতরণ করা হয়েছে। এরপর মাইকিং করে সচেতনতা তৈরি করা হচ্ছে এবং সরকারের বিধিনিষেধ লোকজনকে জানানো হচ্ছে। এতেও যদি জনগণ সচেতন না হয়, আমরা কঠোরতার দিকে যাবো।