আমরা খুব খুশি; খোদা প্রধানমন্ত্রীর ভাল করুক

প্রধানমন্ত্রী ঘর দিছে, ঘর পায়া আমরা খুব খুশি; খোদা তার ভাল করুক’- এভাবেই বলছিলেন ষাটোর্ধ্ব বিধবা সাজেদা বেগম। ছিল না কোনো সহায়-সম্পত্তি ও মাথা গোঁজার ঠাঁই।

এখন প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে সেমিপাকা ঘর পেয়ে খুশিতে আত্মহারা মাজেদা। তাই খুশির বহিঃপ্রকাশ যেন কান্নায়।
বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) কর্ণফুলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহিনা সুলতানাকে কাছে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লেন ঘর পাওয়া মাজেদা। এ দিন নিয়মিত কাজের অংশ হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর উপহার আশ্রায়ন প্রকল্প পরিদর্শনে যান ইউএনও।

কোনো ছেলে না থাকায় বাধ্য হয়ে বিধবা মাজেদা থাকতেন রাস্তায়। জীবিকার তাগিদে তিনি প্রতিদিন কর্ণফুলী ইউনিয়নের বিভিন্ন বাসা-বাড়িতে কাজ করেন। কাজ না পেলে রাস্তায় বসে ভিক্ষা করতেন।

শেষ বয়সে এসে মাজোদার ঠাঁই হয়েছে কর্ণফুলী উপজেলার জুলধা ইউনিয়ন ভাঙ্গারচর মৌজার আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর আওতায় মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে নির্মিত ঘরে।

মাজেদা বেগম বলেন, সারা জীবনটাই কেটেছে দুঃখ-কষ্টে। মানুষের ঘরে থাকছি, বান-বর্ষায় বৃষ্টিতে ভিজছি। নিজের একটা বাড়ি থাকবে, সেটি ছিল কল্পনাতীত। এখন জমিসহ সেমিপাকা ঘর পেয়েছি।

‘দেশে একটি মানুষও গৃহহীন থাকবে না’ প্রধানমন্ত্রীর এমন উদ্যোগ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবর্ষে গৃহহীন ও ভূমিহীনদের আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে মাথা গোঁজার ঠাঁই পেয়েছেন অনেকেই। কর্ণফুলী উপজেলাতে ১৭টি ঘরে ঠাঁই পেয়েছেন ১৭টি অসহায় পরিবার।

ঘর পাওয়া আলী মিয়া নামে এক ব্যক্তি বলেন, আমি তেমন কাজ করতে পারিনা। প্রতিবন্ধী স্ত্রীকে নিয়ে থাকি। জীবনের এতগুলো বছর নিজের বলে কিছু ছিল না। দিন-মজুর খেটে মানুষের জায়গায় কোনো রকমে ঘর তুলে বসবাস করতাম। এখন ঘর পেয়ে খুব ভাল আছি।

কর্ণফুলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহিনা সুলতানা বলেন, আমরা চেষ্টা করেছি আসলেই যাদের ঘর প্রয়োজন তাদেরকে এ প্রকল্পের আওতায় আনতে। আজকে এক নারী যখন আমাকে জড়িয়ে ধরে কান্না করছিলেন তখন মনে হেয়েছে প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগটি সফলভাবে মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে পেরেছি।