একুশ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে বিশ্বমানের গড়ে তুলতে হবে

চসিক পরিচালিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সভায় মেয়র

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, যে জাতি জ্ঞানের আলোয় আলোকিত নয় তার স্থান সভ্য সমাজ থেকে অনেক পিছিয়ে থাকে। চির সবুজ সোনার বাংলাকে উন্নত থেকে আরো উন্নততর করতে শিক্ষার কোন বিকল্প নেই। তিনি শিল্পায়নের ঝুঁকি ও একুশ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আমাদের শিক্ষা ও প্রতিষ্ঠানকে বিশ্বমানের গড়ে তুলতে দক্ষ, প্রশিক্ষিত শিক্ষকগণকে আলোকবর্তিকা হিসেবে শিক্ষার উন্নয়নে অবদান রাখতে আহ্বান জানান। তিনি আরো বলেন, কোভিড-১৯ অতিমারিতে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় শিক্ষকদের গুরুদায়িত্ব পালন করতে হবে। ১২-১৮ বছরের কোন ছাত্রছাত্রী যাতে টিকার বাইরে না থাকে সেটি নিশ্চিত করতে হবে। আজ বুধবার সকালে টাইগারপাসস্থ অস্থায়ী নগর ভবনে চসিক সম্মেলন কক্ষে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন কায়সার নিলুফার কলেজ, পাথরঘাটা মেনকা সিটি কর্পোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, আলকরন নুর আহম্মদ সিটি কর্পোরেশন বালক উচ্চ বিদ্যালয়, গোসাইলডাঙ্গা কে.বি.এইচ দোভাষ সিটি কর্পোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, হালিশহর আহমদ মিয়া সিটি কর্পোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, চরচাক্তাই সিটি কর্পোরেশন উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভায় সভাপতির বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি একথা বলেন।
প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা লুৎফুন নাহারের সঞ্চালনায় এতে আরো বক্তব্য রাখেন চসিক শিক্ষা স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি ড. নিছার উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু, কাউন্সিলর হাজী নুরুল হক, আবদুস সালাম মাসুম, মো. নুরুল আলম, মেয়রের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমূহের সদস্যসচিব অধ্যক্ষ শেখ মো. ওমর ফারুক, প্রধান শিক্ষক এ.কে.এম মোহাম্মদ উল্লাহ, বিধুভুষণ পাল, মানিক চন্দ্র বৈদ্য, জালাল আহমেদ, রোমা বড়ুয়া প্রমুখ।
মেয়র আরো বলেন, শিক্ষা সমৃদ্ধির নিয়ামক আর শিক্ষকরাই জাতির পথ প্রদর্শক। শিক্ষকেরা জাতি গঠনের মূল হাতিয়ার। শিক্ষার্থীদের আলোকিত ও আদর্শবান মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার অন্যতম কারিগর হল শিক্ষকরা। প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মানন্নোয়নে শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির ভূমিকা অনস্বীকার্য। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি ও শিক্ষকরা যদি সক্রিয়ভাবে কাজ করে তাহলে ঐ বিদ্যালয়টি একটি আদর্শ বিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করবে। শিক্ষকদের আধুনিক শিক্ষাপদ্ধতির সাথে তালমিলিয়ে শ্রেণিকক্ষে ও অনলাইনে পাঠদানে পারদর্শী হতে হবে। তিনি শিক্ষকদের উদ্দেশ্য বলেন, প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি সৎ, চরিত্রবান ও ভালো মানুষ হিসেবে শিক্ষার্থীদের গড়ে তুলতে হবে। ক্লাসে পাঠদানের পূর্বেই মানবিক, নৈতিক মূল্যবোধ সম্পর্কে আলোচনা করার উপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দেখভাল শুধু প্রধান শিক্ষকের নয়। এ ক্ষেত্রে পরিচালনা কমিটি ও অভিভাবকদেরও দায়িত্ব রয়েছে। তারা প্রতিষ্ঠান প্রধানকে সহযোগিতার মাধ্যমে শিক্ষার মান আরো উন্নয়নে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।
চসিক প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা লুৎফুন নাহার বলেন, সরকার ও চসিকের বিধিবিধান অনুসরণ করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমুহ পরিচালনা করতে হবে। বিনা রশিদে কোন ফি আদায় করা যাবে না। শিক্ষকদের নিয়মিত প্রাতিষ্ঠানিক শ্রেণী কার্য্যক্রম সফলতার সাথে সম্পন্ন করতে হবে। সভায় চসিক পরিচালিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমূহে শিক্ষক, কর্মচারীদের শূন্যপদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিয়োগের ব্যবস্থাকরণ, শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিও ভুক্তকরণ, অবকাঠামো নির্মাণ সম্পন্নকরণ, শহীদ মিনার নির্মাণ, শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব, বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ কর্ণার স্থাপনসহ গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।