রাউজান উপজেলা নির্বাচন অফিসে হয়রানি

শফিউল আলম, রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ রাউজান উপজেলা নির্বাচন অফিসে এসে প্রতিদিন শত শত মানুষ হয়ারানীর শিকার হচ্ছে । আইডি কার্ডের ভুল সংশোধন, নতুন ভোটার হতে এসে রাউজানের বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতিদিন শত শত নারী পুরুষ ছুটে আসে। উপজেলা নির্বাচন অফিসে এসে রাউজানের বিভিন্ন এলাকার লোকজন দালালদের খপ্পরে পড়ে । দালালদের কথামাতো টাকা দিয়ে দালালেরা সেবাগ্রহিতাদের অফিসে নিয়ে গেলে তাদের কাজ দ্রুত গতিতে করে দেয় উৎকোচ নিয়ে । দালালদের কথামতো সেবাগ্রহিতারা টাকা না ুিদলে বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে এলাকার লোকজনকে মাসের মাস ঘুরিয়ে ও কাজ করে দেয়না । রাউজান উপজেলা নির্বাচন অফিসকে কেন্দ্র করে দালাল চক্রটি প্রতিদিন এলাকার মানুষ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে টাকা । অসহায় দরিদ্র পরিবারের সদস্যরা টাকা দিতে সম্মত না হওয়ায় তাদের কাজ করছেন রাউজান উপজেলা নির্বাচন অফিস । রাউজান উপজেলার ২নং ডাবুয়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের দক্ষিন হিংগলা শান্তি নগর এলাকার মোহাম্মদ আলীর পুত্র ইয়াকুব একজন ওয়েল্ডিং মিস্ত্রি। ইয়াকুবের এক আত্বিয় তাকে মধ্যপ্রাচ্যে নিয়ে যাওয়ার কথা বললে, ইয়াকুব তার পার্সােপার্ট তৈয়ার করার জন্য জাতীয় পরিচয় পত্র ভোটার হতে গত তিনমাস পুর্বে নিয়ম মোতাবেক আবেদন করেন । আবেদনের পর রাউজান উপজেলা নির্বাচন অফিসে তার ছবি তোলেন, হাতের পিঙ্গার ও নেয় । ইয়াকুব টাকা না দেওয়ায় তার আইডি কার্ড পাওয়ার জন্য প্রতিদিন উপজেলা নির্বাচন অফিসে ধর্ণা দিয়ে বেড়ালে ও তার আইডি কার্ড আসেনি বলে রাউজান উপজেলা নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা তাকে ফিরিয়ে দেয় বলে অভিযোগ করেন ইয়াকুবের মাতা বেদুরা বেগম । রাউজান পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের রাউজান রাবার বাগান এলাকার বাসিন্দ্বা রাউজান উপজেলা যুবলীগের সহ সম্পাদক জিয়াউদ্দিন মামুন অভিযোগ করে বলেন, তার আইর্ডি কার্ড হারিয়ে গেলে থানায় জিডি করে আইডি কার্ড পাওয়ার জন্য উপজেলা নির্বাচন অফিসে হারিয়ে যাওয়া আইডি কার্ডের ফটোকপি সংযুক্ত করে আবেদন করেন । আবেদন করার পর কয়েকমাস অতিবাহিত হলে ও জিয়াউদ্দিন মামুন তার আইডি কার্ড উপজেলা নির্বাচন অফিসে ধর্ণা দিয়ে পায়নি । পরে ১ হাজার ২শত টাকা উৎকোচ দিলে তার আইডি কার্ড প্রিন্ট করে দেয় রাউজান উপজেলা নির্বাচন অফিসের এক কর্মচারী । রাউজান উপজেলার পাহাড়তলী ইউনিয়নের দেওয়ন পুর এলাকার বাসিন্দ্বা বৃদ্ব আবদুল হক অভিযোগ করে বলেন,৫০৭০৮৩৪৯৭২ নং আইডি কার্ডে তার মৃত আবদুল মান্নানের স্থলে দুদুমিয়া, মাতার নাম শহর খাতুনের স্থলে বিবি খাতুন লিপিবদ্ব হয় । তার আইডি কাডে’ও ভুল সংশোধন করার জন্য গত ২০২১ সালের ২৪ জুন চট্টগ্রাম চীপ জুডিশিয়াল ম্যজিষ্ট্রেটের আদালতে হলফনামা করে স্থানীয় চেয়ারম্যানের প্রদত্ত প্রত্যায়ন পত্র ও পিতা ও মাতার জাতীয়তা সনদ, পিতার মৃত্যু সনদ সংযুক্ত করে যথানিয়মে আবেদন করেন । আবদুল হক তার আইডি কার্ড সংশোধনের আবেদন করার পর চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন অফিস, চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসার ও রাউজান উপজেলা নির্বাচন অফিসারের কাছে ৬মাস ধরে ধর্ণা দিয়ে বেড়ালে ও তার সংশেধিত আইডি কার্ড পায়নি । আবদুল হক অভিযোগ করে আরো বলেন, চট্টগ্রাম নগরীর নির্বাচন অফিসে গেলে তা রাউজান উপজেলা নির্বাচন অফিসে পাঠিয়েছে বলে, রাউজান উপজেলা নির্বাচন অফিসে আসলে চট্টগ্রাম নগরীর জেলা নির্বাচন অফিস ও আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসে যেতে বলে রাউজান উপজেলা নির্বাচন অফিসার অরুন উদয় ত্রিপুরা । এ ব্যাপারে রাউজান উপজেলা নির্বাচন অফিসার অরুন উদয় ত্রিপরার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আবদুল হকের আইডি কার্ড ভুল সংশোধন করার আবেদন করার পর আমি নিবার্চন কমিশনার অফিসে পাঠিয়েছি । নির্বাচন কমিশনার কার্যলয় থেকে চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসারের কাছে পাঠানো হয়েছে । আবদুল হককে চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসে যেতে বলেছি । নতুন ভোটার হওয়া ও আ্ইডি কার্ডের ভুল সংশোধন করতে আসা লোকজন থেকে টাকা আদায়ের অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবী করেন রাউজান উপজেলা নির্বাচন অফিসার অরুন উদয় ত্রিপুরা । এ ব্যাপারে রাউজান উপজেলা নির্বাহী অফিসার জোনায়েদ কবির সোহাগকে ফোন করে জানতে চাইলে, উপজেলা নির্বাহী অফিসার জোনায়েদ কবির সোহাগ বলেন, উপজেলা নির্বাচন অফিসে এসে সেবা গ্রহিতাদের হয়রানী করা ও উৎকোচ নেওয়ার কোন বিধান নেই। কেউ হয়রানী করলে, উৎকোচ দাবী করলে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষকে অভিযোগ করলে তদন্ত করে উৎকোচ আদায় ও হয়রানী কারী যে হউক না কেন তাদের বিরুদ্বে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে ।