পৃথিবীর সকল ধর্মে মানুষের কল্যানের কথা বলা হয়েছে : দীপংকর

মোঃ নজরুল ইসলাম লাভলু, কাপ্তাই। পৃথিবীর সকল ধর্মে মানুষের কল্যানের কথা বলা হয়েছে। কোন ধর্মে অশান্তির কথা বলা হয়নি, কিন্ত কিছু কিছু মানুষ আজ সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে ধর্মে ধর্মে বিভেদ তৈরী করছে। খ্রীস্টান সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শুভ বড়দিন উপলক্ষে শনিবার(২৫ ডিসেম্বর) কাপ্তাইয়ের চন্দ্রঘোনা ব্যাপ্টিস্ট চার্চের আয়োজনে প্রার্থনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে খাদ্য মন্ত্রনালয় সম্প্রর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও রাঙামাটির সাংসদ দীপংকর তালুকদার এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার এই পার্বত্যাঞ্চলে হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন করেছেন। চন্দ্রঘোনা খ্রীস্টিয়ান হাসপাতালের স্টাফ ক্লাবে এই প্রার্থনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এসময় দীপংকর তালুকদার এমপি এবং আমন্ত্রিত অতিথিরা কেক কেটে বড়দিনের অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন। চন্দ্রঘোনা ব্যাপ্টিস্ট চার্চের সাধারণ সম্পাদক বিজয় মারমার সঞ্চালনায় এসময় অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা, রাঙামাটি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুইপ্রু চৌধুরী, সদস্য অংসুই ছাইন চৌধুরী, দীপ্তিময় তালুকদার, কাপ্তাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মফিজুল হক, কাপ্তাই থানার ওসি মোঃ নাসির উদ্দীন, রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগ শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মোঃ হানিফ, কাপ্তাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ- সভাপতি বির্দশন বড়ুয়া, সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহীম খলীল, চন্দ্রঘোনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম চৌধুরী বেবী, রাঙ্গুনীয়ার চন্দ্রঘোনা কদমতলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইদ্রিচ আজগর, কাপ্তাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী আবদুল লতিফ, কেপিএম সিবিএ সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বাচ্চু, কাপ্তাই উপজেলা আওয়ামী লীগ সদস্য বাবলা খিয়াং। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক ব্যাপ্টিস্ট চার্চের সভাপতি বিপ্লব মারমা এবং চন্দ্রঘোনা খ্রীস্টিয়ান হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ প্রবীর খিয়াং। এরআগে চার্চের পালক রেভারেন্ড সখরিয় বৈরাগী শুভ বড়দিন উপলক্ষে বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন। এছাড়া মন্ডলীর সদস্যরা খ্রীস্ট সংগীত এবং সানডে স্কুলের সদস্যরা নৃত্য পরিবেশন করেন। প্রার্থনা সভায় চন্দ্রঘোনা খ্রীস্টিয়ান হাসপাতালে কর্মরত বিদেশী চিকিৎসক ও তাদের পরিবারের সদস্যরা খ্রীস্ট সংগীত পরিবেশন করেন।