চট্টগ্রামের ১০টি সরকারি বিদ্যালয়ে ভর্তির আবেদন শুরু

চট্টগ্রামের ১০টি সরকারি বিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য অনলাইনে আবেদন শুরু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) সকাল ১১টা থেকে বিদ্যালয়ে ভর্তি সংক্রান্ত ওয়েবসাইট (http://www.gsa.teletalk.com.bd) থেকে আবেদন ফরম পূরণ করছেন ভর্তিচ্ছুরা।

 

নগরের বিভিন্ন মার্কেট সংলগ্ন দোকানগুলোতে ভিড় করেছেন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা। ৮ ডিসেম্বর বিকেল ৫টা পর্যন্ত আবেদন করার সুযোগ পাবেন তারা।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন সরকারি বিদ্যালয়গুলোর শ্রেণিভিত্তিক শূন্য আসনের তালিকা চূড়ান্ত করেছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মু. মাহমুদ উল্লাহ মারুফ।

তালিকা অনুযায়ী, ৫ম থেকে ৯ম শ্রেণিতে মোট ৩ হাজার ৮৬০টি আসন রয়েছে। এর মধ্যে ৫ম শ্রেণিতে ১ হাজার ৯১০ জন, ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ৭৩০ জন, ৭ম শ্রেণিতে ১০ জন, অষ্টম শ্রেণিতে ২৪৮ জন এবং নবম শ্রেণিতে ৯৬২ জন শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পাবেন।

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী, একজন শিক্ষার্থী সর্বোচ্চ ৫টি বিদ্যালয়ে আবেদন করার সুযোগ পাবেন। তবে কোনও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের একটি শ্রেণির দুই শিফটে আবেদন করলে সেক্ষেত্রে দুইটি স্কুল পছন্দ করা হয়েছে বলে বিবেচনা করা হবে। আবেদন ফি ১১০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে অনলাইনে এই ফি দেওয়া যাবে। আবেদন গ্রহণ শেষে ভর্তির লটারি ১৫ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। অনলাইনে লটারির মাধ্যমেই ভর্তির জন্য শিক্ষার্থী নির্বাচন করা হবে। টেলিটকের মাধ্যমে ফল প্রকাশ করবে মাউশি।

সরকারি বিদ্যালয়গুলো হলো- চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল, ডা. খাস্তগীর সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, গভর্নমেন্ট মুসলিম হাইস্কুল, চট্টগ্রাম সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, নাছিরাবাদ সরকারি উচ্চবিদ্যালয়, চট্টগ্রাম সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, সিটি সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, হাজী মুহাম্মদ মহসিন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, বাকলিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় এবং চট্টগ্রাম সরকারি মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ।

এদিকে মাউশির অধীনে বেসরকারি বিদ্যালয়েও ভর্তির আবেদন অনলাইনে গ্রহণ করা হবে। লটারি অনুষ্ঠিত হবে ১৯ ডিসেম্বর। ভর্তির জন্য অনলাইন আবেদনে ৫টি বিদ্যালয় পছন্দক্রম দিয়ে আবেদন করার সুযোগ পাবেন শিক্ষার্থীরা। তবে কোনও বিদ্যালয়ের একটি শ্রেণির দুই শিফটে (মর্নিং ও ডে শিফট) আবেদন করলে তা দুটি বিদ্যালয় হিসেবে গণ্য করা হবে। এবার অনলাইন আবেদন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ১১০ টাকা।

এক আবেদনেই ৫টি বিদ্যালয় পছন্দক্রম দিয়ে আবেদন করতে পারবেন ভর্তিচ্ছুরা। কোনও বেসরকারি বিদ্যালয় আলাদা করে ভর্তি ফরম বিক্রি করতে পারবে না বলে জানিয়েছেন মাউশির উপ-পরিচালক মো. আজিজ উদ্দিন।

কয়েকজন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীর অভিভাবক বলেন, সন্তানকে সরকারি বিদ্যালয়ে ভর্তি করাতে চান তারা। কিন্তু লটারি হওয়ায় ভর্তির বিষয়টি ভাগ্যের ওপরই ছেড়ে দিতে হচ্ছে।