কনটেইনার কোম্পানি অব বাংলাদেশের সঙ্গে সাইফ লজিস্টিকসের চুক্তি

কনটেইনার কোম্পানি অব বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তি সম্পন্ন করেছে সাইফ লজিস্টিকস অ্যালায়েন্স লিমিটেড।

মঙ্গলবার (১৯ অক্টোবর) রাজধানীর একটি হোটেলে এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন।

অনুষ্ঠানে সাইফ লজিস্টিকসের চেয়ারম্যান তরফদার মো. রুহুল আমিন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক তরফদার মো. রুহুল সাইফ, কনটেইনার কোম্পানির চেয়ারম্যান রেল মন্ত্রণালয়ের সচিব সেলিম রেজা এবং এই প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বেলাল উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সাইফ লজিস্টিকসের পক্ষে ব্যবস্থাপনা পরিচালক তরফদার রুহুল সাইফ এবং কনটেইনার কোম্পানির পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বেলাল উদ্দিন।

তরফদার রুহুল সাইফ বলেন, ‘এটি দেশের জন্য একটি বড় ইভেন্ট। আমরা হয়তো এখনো বুঝতে পারছি না। যখন প্রজেক্ট সম্পন্ন হবে তখন এটি মাইলস্টোন হবে। আমাদের সাইফ লজিস্টিকস অ্যালায়েন্স এতে যুক্ত হতে পেরে গর্ববোধ করছে। এই প্রজেক্টের সঙ্গে আমাদের যুক্ত করায় রেল মন্ত্রণালয়কে অসংখ্য ধন্যবাদ। ’

কনটেইনার কোম্পানি অব বাংলাদেশ সরকারি একটি প্রতিষ্ঠান। রেল মন্ত্রণালয়ে অধীন এ প্রতিষ্ঠানটি। সরকারি জমিতে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। সাইফ লজিস্টিকস অ্যালায়েন্স ২০ বছরের জন্য এটি লিজে নিচ্ছে। তারপর এটি রেলের অধীনে চলে আসবে। এই টার্মিনাল থেকে শতকরা ২১.৫ লভ্যাংশ পাবে রেল।

প্রধান অতিথি রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেন, যাত্রী পরিবহন করে বিশ্বের কোনো দেশই রেল থেকে লাভবান হয় না। পণ্য পরিবহন করার মধ্য দিয়ে লভ্যাংশ পায়। বাংলাদেশের রেলের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনেক কাজ করে যাচ্ছেন। আপনারা সেগুলো দেখতে পাচ্ছেন। আগের চেয়ে রেলের প্রতি মানুষের আস্থা অনেক বেড়েছে। আমি মনে করি আজকের এই চুক্তি বাংলাদেশের ব্যবসায় ইতিহাসে দারুণ ভূমিকা রাখবে। এই টার্নিমাল নির্মাণ হলে ব্যবসায়ে গতি পাবে।

সাইফ লজিস্টিকসের চেয়ারম্যান তরফদার মো. রুহুল আমিন বলেন, আজকের দিনটা আমাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের দিন। আমরা বাংলাদেশ রেলওয়ের মতো বড় একটা কোম্পানির সঙ্গে এবং সিসিবিএল যা রেলের একটি প্রতিষ্ঠান সেই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে একটি মাল্টিমডাল কনটেইনারের জন্য চুক্তি স্বাক্ষর করতে যাচ্ছি। এই চুক্তির মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের যে লজিস্টিকস ইস্যুগুলো আছে, যে লজিস্টিকস গ্রোথ আছে সেটি বৃদ্ধি পাবে। বাংলাদেশে ব্যবসায়ীরা ৫০ বিলিয়ন ডলারের টার্গেট সামনে রেখে বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফেকচার কাজ করে যাচ্ছে। আমরা বিশ্বাস ৫০ বিলিয়নের টার্গেট পূরণে এই মাল্টিমডাল টার্মিনাল বিশাল অবদান রাখবে।

তিনি বলেন, এটি চট্টগ্রাম বন্দরের সন্নিকটে হওয়াতে চট্টগ্রাম বন্দরের সমক্ষতা বাড়াতে এই টার্মিনাল অনেক বড় অবদান রাখবে। এটি হবে চট্টগ্রাম বন্দরের রাইট আর্ম। এই মাল্টি মডাল টার্মিনাল বির্নিমাণের মধ্য দিয়ে ব্যবসায়ে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে। এটি এমন একটি টার্মিনাল যা রেল এবং রোডের সংযোগে নির্মিত হবে- যা বাংলাদেশে আগে হয়নি।

কনটেইনার কোম্পানি অব বাংলাদেশের চেয়ারম্যান রেলপথ সচিব সেলিম রেজা বলেন, বাংলাদেশের ব্যবসায় অনেক বড় ভূমিকা রাখবে এই টার্মিনাল। এটি দেশের অর্থনীতির গতিকে যেমন সচল করবে, তেমনি রাজস্ব আয় বৃদ্ধিতেও ভূমিকা রাখবে।