রাউজানে বিপুল পরিমান কৃষি জমি অনাবাদি

শফিউল আলম, রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ অপরিকল্পিত ভাবে পানি নিস্কাসনের পথ ভরাট করে ঘর বাড়ী, ব্যবসা প্রতিষ্টান নির্মান করায় জলবদ্বতা সৃষ্টি হয়ে রাউজানের বিভিন্ন এলাকায় বিপুল পরিমান ফসলী জমি গত কয়েক বৎসর ধরে অনাবাদী হয়ে পড়েছে । রাউজান উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের উত্তর সর্তা, ডাবুয়া ইউনিয়নের পশ্চিম ডাবুয়া, চিকদাইর ইউনিয়নের দক্ষিন সর্তা, গহিরা ইউনিয়নের দলই নগর,কোতোয়ালী ঘোনা, রাউজান পৌরসভার পশ্চিম গহিরা, গহিরা মোবারক খীল, দক্ষিন গহিরা, সুলতানপুর কাজী পাড়া, হাজী পাড়া, সুলতানপুর ছিটিয়া পাড়া, বিনাজুরী ইউনিয়নের উত্তর লেলাঙ্গারা, ইদিলপুর, বিনাজুরী, মাধ্যম বিনাজুরী, পশ্চিম বিনাজুরী, জাম্মইন, রাউজান ইউনিয়নের মঙ্গলখালী, মোহাম্মদপুর পশ্চিম রাউজান জারুল তলা, পুর্ব গুজরা ইউনিয়নের উত্তর গুজরা, আধার মানিক, পুর্ব আধারমানিক, হোয়ারা পাড়া, বড়ঠাকুর পাড়া, পশ্চিম আধার মানিক, সাতবাড়ীয়া, কদলপুর ইউনিয়নের পশ্চিম কদলপুর, পাহাড়তলী ইউনিয়নের মহামুনি, বদু পাড়া, দেওয়ান পুর, খৈয়াখালী, পশ্চিম গুজরা ইউনিয়নের কাগতিয়া, ডেমাখালী, মগদাই, মিরধার পাড়া, বদু মুন্সি পাড়া, সরকার পাড়া, নোয়াপাড়া ইউনিয়নের কচুখাইন, উভলং, সামমাহলদও পাড়া, মোকামী পাড়া, শেখ পাড়া, সুর্যসেন পল্লী, উরকিরচর ইউনিয়নের মইশকরম, আবুর খীল, হারপাড়া, খলিফার ঘোনা, উরকিরচর, বাগোয়ান ইউনিয়নের কোয়ে পাড়া, পাচঁখাইন, গশ্চি, নোয়জিশপুর ইউনিয়নের নদীম পুর, ফতেহ নগর, এলাকায় বিপুল পরিমান ফসলী জমি গত কয়েক বৎসর ধরে অনাবাদী হয়ে পড়ে রয়েছে । সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায় অনাবাদী হয়ে পড়ে থাকা ফসলী জমি মাটি ভরাট করে জমির মালিকেরা পাকাভবন নির্মান করেছে । অনাবাদী হয়ে পড়ে থাকা ফসলী জমিতে মহিষের পাল চড়তে দেখা যায় । বিপুল পরিমান ফসলী জমি অনাবাদী হয়ে পড়ার অন্যতম কারন হিসাবে এলাকার লোকজন জানান, অপরিকল্পিত ভাবে পানি চলাচলের পথ বন্দ্ব করে পাকা ভবন ও বাণ্যিজিক প্রতিষ্টান নির্মান করায় বর্ষার মৌসুমে পানি চলাচল করতে বাধাগ্রস্থ হয়ে ফসলী জমি জলবদ্বতা হয়ে সারা বৎসর পানিতে ডুবে থাকে । জলবদ্বতা সৃষ্টি হয়ে ফসলী জমি পানিতে ডুবে থাকায় জমির মালিকেরা অনাবাদী জমি মাটি ভরাট করে ভবন নির্মানর করে ভাড়ায় দিয়েছেন । অনেকেই অনাবাদী হয়ে পড়ে থাকা ফসলী জমি বিক্রয় করে দিচ্ছেন । অনাবাদী হয়ে পড়ে থাকা ফসলী জমি জমির মালিকের কাছ থেকে ক্রয় করে জমির ক্রয়কারীরা জমিতে মাটি ভরাট করে ভবন নির্মান করছেন । কিছি এলাকায় অনাবাদী ফসলী জমিতে বাধ দিয়ে মাটি খনন করে মাছ চাষের প্রকল্প গড়ে তোলেছে । রাউজান পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের হাজী পাড়ায় হাজী বশির আহম্মদের বাড়ীর পাশের ফসলী জমির উপর দিয়ে বর্ষার মৌসুমে বৃষ্টি ও পাহাড়ী ঢলের শ্রোতের পানি হাজী পাড়া হয়ে হজরত মাওলানা এজাবত উল্ল্রাহ শাহার মাজারের দক্ষিন পাশে হাফেজ বজুলুর রহমান সড়কের উপর অতলা পুলের নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতো গত দশ বৎসর পুর্বে হজরত মাওলানা এজাবত উল্ল্রাহ শাহার মাজারের সামনে হাফেজ বজলুর রহমান সড়কের পাশে পানি চলাচলের পথ বন্দ্ব জমিতে মাটি ভরাট করে নির্মান করা হয়েছে ব্যবসা প্রতিষ্টান ও আবাসিক ভবন । পানি চলাচলের পথ বন্দ্ব করে জমিতে মাটি ভরাট করে ভবন নির্মান করায় জলবদ্বতা সৃষ্টি হয়ে ৫০ একরের বেশী ফসলী জমি গত দশ বৎসর ধরে অনাবাদী হয়ে পড়ে রয়েছে । রাউজান উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সনজিব কুমার সুশীলের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, রাউজান ১২ হাজার হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষাবাদের জমি রয়েছে । এ বৎসর ১১ হজার ৮শত ৭০ হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষাবাদ করা হয়েছে । উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন বিভাগের দেওয়া তথ্য মতে রাউজানে ৩০ হেক্টর জমি অনাবাদী হয়ে পড়ে রয়েছে দাবী করলে ও রাউজানের বিভিন্ন এলাকায় ৩ হাজার একরের বেশী ফসলী জমি গত কয়েক বৎসর ধরে অনাবাদী হয়ে পড়ে রয়েছে । রাউজানের কয়েকজন কৃষক তাদের নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, উপজেলা কৃষি বিভাগ কাগজে কলমে ১১ হাজার ৮শত ৭০ হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষাবাদ করা হয়েছে দাবী সঠিক নয় । রাউজানের বিভিন্ন এলাকায় কৃষি বিভাগের দেওয়া তথ্যের অর্ধেকাংশ জমিতে আমন ধানের চাষাবাদ করা হয়েছে ।