রাঙ্গামাটিতে সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জেরে স্বজনদের হামলায় নিহত ১

রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি
পৈতৃক সম্পত্তির ভাগ-ভাটোয়ারা নিয়ে বিরোধের জের ধরে ভাই-বোনসহ স্বজনদের হামলায় গুরুতর আহত তিন সন্তানের জনক আব্দুল মজিদ চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন। গত বুধবার রাতে শহরের রিজার্ভ বাজারের মহসিন কলোনি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নিহত আব্দুল মজিদের ১৫ বছর বয়সী বড় ছেলে ইব্রাহিম আলভীন পিয়াল ও স্ত্রী নুর বানু বেগম (৩৫) গুরুতর আহত হয়। আহত মা-ছেলে রাঙ্গামাটি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। গতকাল দুপুরে রাঙ্গামাটি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অবনতি ঘটলে আব্দুল মজিদকে চট্টগ্রাম মেডিকেলে রেফার্ড করা হয়েছে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ডান হাতের কব্জি কেটে যাওয়া নুর বানু জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জানিয়েছেন, তার শ^শুর জীবিত থাকাকালে সামান্য খাস জমি তার স্বামীর নামে লিখে দিয়ে যায়। সেখানেই তারা বসবাস করেন।
কিন্তু এই জায়গা অন্যান্য ভাই ও বোনরা নিজেদের পৈতৃক অংশ হিসাব করে ভাগ-বাটোয়ারার দাবি করছিলো। এতে আব্দুল মজিদ বাধা দেয়ায় তাদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিলো। অতঃপর বুধবার সন্ধ্যারাতে আব্দুল মজিদের বড় ভাই আব্দুল গফুর, মেজো ভাই আব্দুল লতিফ ভুট্টো (৪০), বড় বোনের ছেলে মো. আরজু (৩৫), ভাগ্নি জামাই মো. খোকন (৪০), ভাগিনা মো. রায়েদ (১৯), ভাইয়ের ছেলে মো. আসিফ (১৯), বড় বোনের মেয়ে মিনু আক্তার (৩৫), বড় ভাইয়ের স্ত্রী নাসিমা বেগম (৪০) মিলে আব্দুল মজিদের ঘরে প্রবেশ করে লোহার রড, গাছের বাটাম ও ইট দিয়ে বেধড়ক পেটাতে থাকে। এ সময় মজিদকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে তার বড় ছেলে পিয়াল (১৫) ও স্ত্রী নুর বানুর ওপরও হামলা চালায়। এ সময় নুর বানুর হাতের কব্জি মধ্যাংশ কেটে দেয়া হয়। খবর পেয়ে আব্দুল মজিদের শ্বশুরবাড়ির লোকজন এসে মুমূর্ষু অবস্থায় তিনজনকে উদ্ধার করে গত বুধবার মধ্যরাতে রাঙ্গামাটি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় নাসিমা বেগম নামের একজনকে আটক করেছে পুলিশ।