মানবেতর দিন যাপন করছে কর্নফুলীর সাম্পান মাঝিরা

কাপ্তাই প্রতিনিধি।

লকডাউনে মানবেতর দিন যাপন করছে কাপ্তাই উপজেলার চন্দ্রঘোনা থানাধীন কর্ণফুলী নদীর বিপুল সংখ্যক সাম্পানের মাঝি। লকডাউনে মানুষের যাতায়াত কমে যাওয়ায় এমন অবস্থা তৈরি হয়েছে বলে জানা গেছে।
দীর্ঘ প্রায় ৪০ বছর ধরে ফেরী ঘাটে খেয়া পারাপার করে জীবিকা নির্বাহ করছেন মোঃ ওসমান (৫৫)। তিনি বলেন, লকডাউনের আগে দৈনিক আয় ছিল ৩শ’ থেকে ৩শ’ ৫০ টাকা। বর্তমানে লকডাউনের সময় তা কমে দৈনিক আয় হয় ৮০ থেকে ১শ’ টাকা। এই টাকা দিয়ে কোন ভাবেই সংসার চলছে না।তবুও নিরুপায় হয়ে কোনমতে বেঁচে আছি।
রাইখালী বাজার থানা ঘাটের সাম্পান মাঝি মোঃ গিয়াস উদ্দিন, দোলন দে, মোঃ শফি, মিলন দে’র মুখেও হতাশার সুর। তারা সকলেই জানান, লকডাউন অবস্থায় চরম আর্থিক অনটনে দিন কাটছে তাদের। এই খেয়া ঘাট দিয়ে সর্বমোট ৫৬ জন যাত্রীর পারাপার কমে যাওয়ায় সাম্পান মাঝিদের আয় কমেছে। সরকারী কোন সহায়তাও মিলছে না। একই চিত্র মিশন ঘাট, চিৎমরম বাজার ঘাট, চিৎমরম খিয়াং ঘাটের। কাপ্তাইয়ের কর্নফুলি নদীতে ২ শতাধিক মাঝি খেয়া পার করে সংসার চালায়। তারা সকলেই সরকারি সহায়তার দাবি জানান।
এবিষয়ে উপজেলার ২ নং রাইখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সায়ামং মারমা জানান, তার ইউনিয়নের আওতাধীন মাঝিদের সরকারি সহায়তা আসলে প্রনোদনা দেওয়া হবে। তাদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। শিগগির তারা সরকারী সহায়তা পাবে।
কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনতাসির জাহান জানান, সরকারি সিদ্ধান্ত মোতাবেক করোনাকালীন সময়ে কর্মহীন হয়ে পড়া অতি দরিদ্রদের মাঝে সরকারি সহায়তা প্রদান করা হবে। ইতিমধ্যে সরকারি বরাদ্দ এসে গেছে। তালিকা করতে সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যানদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তারা কাজ করছেন। দরিদ্র জনগোষ্ঠীর কেউ সরকারি সহায়তা থেকে বঞ্চিত হবে না বলে জানান তিনি।