টিসিবির মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে তেল বিক্রি অব্যাহত থাকবে

আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সংগতি রেখে দেশে খুচরা পর্যায়ে ভোজ্যতেলের দাম নির্ধারণ করলেও সাধারণ মানুষের জন্য টিসিবির মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে তেল বিক্রি অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

বৃহস্পতিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে নগরের নাসিরাবাদে বাংলাদেশ চা বোর্ডের প্রধান কার্যালয়ে ‘বঙ্গবন্ধু স্মৃতি গ্যালারি’ ও ‘বঙ্গবন্ধু কর্নার’ উদ্বোধন শেষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেছে, ভোগ্যপণ্যের দর নির্ধারণে মন্ত্রণালয়ে একটি কমিটি আছে। যেখানে ব্যবসায়ীরাও আছেন। এ কমিটি সময় সময় বসে মূল্য নির্ধারণ করে থাকে। সমস্ত ডাটা নিয়ে বিস্তৃত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে এটা করা হয়। আন্তর্জাতিক বাজারে গত ৬ মাসে তেলের দাম ৬৭ শতাংশ বেড়েছে। যেটা ৭০০ ডলার ছিল, সেটা এখন বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ১১শ’ ডলার। সেই দামসহ সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। কত ভ্যালু আন্তর্জাতিক বাজারে, কী প্রফিট তারা করবে। যেহেতু দেশের প্রয়োজনের ৯০ ভাগ তেল আমদানি করতে হয়। তাই আন্তর্জাতিক বাজারের ওপর নির্ভর করতে হয়। যৌক্তিক দাম নির্ধারণ করতে হয়।

তিনি বলেন, এখন মানুষের কষ্ট হচ্ছে। তারপরও আমরা টিসিবির মাধ্যমে ভর্তুকি দিয়ে সাধারণ মানুষকে তেল দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আগামীতেও আমরা করব।
এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, রমজান মাস সামনে রেখে ভোজ্যতেল, চিনি, গুড়, খেজুর, পেঁয়াজসহ সব পণ্যই ব্যবসায়ী ও টিসিবির মাধ্যমে বিশাল পরিমাণ মজুদ আছে। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা আশ্বাস দিয়েছেন, রমজানে ভোগ্যপণ্যের দাম যৌক্তিক পর্যায়ে রাখবেন।

খুচরা বাজারে চালের দাম প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, আমদানি করা চাল দেশে আসা শুরু হয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারেও চালের দাম কিছুটা বাড়তি। আমাদের বোরো ধান উঠে গেলে আর সমস্যা হবে না। আশাকরি আর দাম বাড়বে না।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরসহ সরকারের বিভিন্ন উইং চাল, তেলসহ নিত্যপণ্যের বাজার মনিটরিং অব্যাহত রয়েছে। সব রকম প্রস্তুতি রয়েছে।