চট্টগ্রাম শহর কসমোপলিটন সিটি। দেশের প্রতিটি উপজেলার লোক বাস করেন এখানে। শহরের আদিবাসীরা সবার সঙ্গে মিলেমিশে থাকছেন। এটা বিশেষত্ব। এদেশ, এ শহর আমাদের। সংকীর্ণতার ঊধ্বে উঠলে মানুষের হৃদয় বড় হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নারী-পুরুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় দেশ অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জন করবে বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।
শুক্রবার (৮ মার্চ) দুপুরে নগরের বহদ্দারহাটের স্বাধীনতা পার্কে রামুবাসীর মিলনমেলায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, যান্ত্রিক জীবনে অভ্যস্ত হয়ে পড়ছি। সামাজিক ও পারিবারিক বন্ধন আলগা হয়ে যাচ্ছে। এটা নিষ্ঠুর বাস্তবতা। সন্তানদের সঙ্গে দাদুর বাড়ি, নানুর বাড়ির আন্তরিকতা কমছে। গর্ব করার জায়গা, বন্ধন পুনরুদ্ধার করা উচিত। এ ক্ষেত্রে রামুবাসীর এ মিলনমেলার মতো আয়োজন গুরুত্বপূর্ণ।
মিলনমেলার উদ্বোধন করেন কক্সবাজার সদর (রামু) আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল।
তিনি বলেন, পাকিস্তানিরা প্রথম আমাদের ঘর পুড়ে দিয়েছিল। পোড়া ঘরে বেড়ে উঠেছি। রামুর মানুষ আগে কাজের জন্য বাইরে যেত না, অসম্মান মনে করত।
রামুর ঐতিহ্য তুলে ধরে তিনি বলেন, রবীন্দ্রনাথের লেখায় রামুর নাম আছে। রামুর ঐতিহ্য দীর্ঘদিনের। সিঙ্গাপুর-ব্যাংককে ছাড়িয়ে গেছে কক্সবাজার। এতগুলো হোটেল হয়েছে। রামুকে শিক্ষা শহর করতে কাজ করছি আমরা। ১২০ কোটি টাকায় বিকেএসপি হচ্ছে। কক্সবাজারে প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়টি রামুতে হবে।
তিনি রামু সমিতি চট্টগ্রামের জন্য ৫ লাখ টাকা অনুদান ঘোষণা করেন।
অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আকতার।
তিনি বলেন, আমাদের সময়ে রামুতে পড়ার সুযোগ-সুবিধা ছিল না। আমরা চট্টগ্রাম এসে পড়েছি। বর্তমানে রামু এগিয়ে যাচ্ছে। আগামীতে আরও এগিয়ে যাচ্ছে।
সভাপতির বক্তব্যে রামু সমিতির সভাপতি, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব তপন চক্রবর্তী বলেন, রামুর সন্তানদের বিপদে আপদে একে অপরকে পাশে পেতে এ সমিতির প্রতিষ্ঠা। আগামীতে নতুন নেতৃত্ব এ সমিতিকে অনেকদূর এগিয়ে নেবে।
স্বাগত বক্তব্যে সমিতির সাধারণ সম্পাদক, আমাদের সময়ের চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান হামিদ উল্লাহ বলেন, রামুর আলোকিত মানুষের মিলনমেলা এটি। বৈরী আবহাওয়ার মধ্যেও প্রাণের টানে ছুটে এসেছেন। সুখ-দুঃখ ভাগাভাগির জন্য এ সমিতি গঠন করা হয়েছে।
প্রধান অতিথির হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন সাংবাদিক তপন চক্রবর্তী। উদ্বোধকের হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন সাধারণ সম্পাদক হামিদ উল্লাহ। স্মারক প্রকাশনার মোড়ক উন্মোচন করেন প্রধান অতিথি।
দিনব্যাপী আয়োজনে ছিল শিশুদের আলু কুড়ানো প্রতিযোগিতা, নারীদের চেয়ার খেলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, র্যাফল ড্র ইত্যাদি।
