ক্যাডেট কলেজ ক্লাবের নিজস্ব ভবনের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন

নগরীর আগ্রাবাদ বাণিজ্যিক এলাকার ডেবার পাড়ে ক্যাডেট কলেজ ক্লাব চিটাগং লিমিটেডের এর নিজস্ব ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে। আজ (৮ ডিসেম্বর) মঙ্গলবার বিকেলে আনুষ্ঠানিকভাবে এই ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়।

অনুষ্ঠানে ছিলেন, চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এস এম আবুল কালাম আজাদ, ক্যাডেট কলেজ ক্লাবের প্রেসিডেন্ট এম সাইফুল ইসলাম, ক্লাবের উপদেষ্টা ও দৈনিক পূর্বকোণ সম্পাদক ডা. ম রমিজউদ্দিন চৌধুরী, চিটাগাং ক্লাবের চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন চৌধুরী, ওল্ড ফৌজিয়ান চিটাগাং চ্যাপ্টারের সভাপতি ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলাম মজুমদার, সেক্রেটারি ইঞ্জিনিয়ার ফজলে রশিদ, কমোডর আফজাল-উল-হকসহ ক্লাবের অন্যান্য সদস্যরা।

চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এস এম আবুল কালাম আজাদ বলেন, ক্যাডেট কলেজে প্রাক্তনদের জন্য চট্টগ্রামে এই ধরনের একটি ক্লাব অত্যন্ত জরুরি ছিল। তাদের মাধমে সমাজেরও অনেক কর্মকা- পরিচালিত হয়। এতে ক্লাবের সদস্যরা ছাড়াও সাধারণ মানুষও উপকৃত হয়। এই ক্লাবের নিজস্ব ভবন হলে এর কর্মকা- আরো বাড়বে। যার মাধ্যমে সবারই উপকার হবে।

ক্যাডেট কলেজ ক্লাবের প্রেসিডেন্ট এম সাইফুল ইসলাম বলেন, ক্যাডেট কলেজ ক্লাবে দেশের সব ক্যাডেট কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা সদস্য হিসেবে যুক্ত আছে। ভবিষ্যতেও যারা ক্যাডেট কলেজ থেকে বের হয়ে প্রাক্তন হবেন তারাও এই ক্লাবের সদস্য হতে পারবে। এটি ক্যাডেট কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের আরেকটি পরিবার।

তিনি আরো বলেন, এটি ক্যাডেট কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের ক্লাব হলেও এর মাধ্যমে সামাজিক অনেক কর্মকা- পরিচালিত হয়। আমরা গরিব দুস্থ মানুষদের চিকিৎসা সেবা দিয়ে থাকি, শীতকালীন বস্ত্র বিতরণ, রোহিঙ্গাদের সহায়তার মত কাজও এই ক্লাব করে থাকে।

ক্লাবের উপদেষ্টা ও দৈনিক পূর্বকোণ সম্পাদক ডা. ম রমিজউদ্দিন চৌধুরী বলেন, ঢাকায় অনেক আগে থেকে ক্যাডেট কলেজ ক্লাব থাকলেও চট্টগ্রামে এমন কোন ক্লাব ছিল না। তাই তিন বছর আগে চট্টগ্রামে একটি ক্যাডেট কলেজ ক্লাবের উদ্যোগ নিয়েছিলেন মরহুম স্থপতি তসলিম উদ্দিন চৌধুরী। সেই ক্লাবের স্থায়ী ভবন নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠান হলো আজ। এই ভবন নির্মাণের জন্য ক্লাবের সকল সদস্যসহ সরকারি সংস্থাও সাহায্য করেছেন। এই ক্লাব ভবনের মাধ্যমে প্রাক্তন ক্যাডেটের একটি স্থায়ী জায়গার ব্যবস্থা হলো। এখানে তিনতলা বিশিষ্ট একটি আধুনিক ভবন নির্মাণ করা হবে। যা আগামী এক বছরের মধ্যে কাজ শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে।

অনুষ্ঠানের সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন ডা. মেজবাহ উদ্দিন ও ইঞ্জিনিয়ার ইফতেখার।