ইনল্যান্ড কন্টেইনার টার্মিনাল হচ্ছে জাতীয় অর্থনীতির অপরিহার্য অংশ

চসিক প্রশাসকের সাথে কন্টেইনার ইয়ার্ড মালিকদের মতবিনিময়
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, ইনল্যান্ড কন্টেইনার টার্মিনাল (আইসিটি) হচ্ছে জাতীয় অর্থনীতির অপরিহার্য অংশ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী দৃষ্টিভঙ্গির কারণে যোগাযোগ ক্ষেত্রে চীনের কুম্ভিং শহর পর্যন্ত বিস্তৃত ঘটছে। সে ক্ষেত্রে চট্টগ্রাম নগরীর উপর বিশাল একটি চাপের সৃষ্টি হবে। তাই আমাদেরকে আগামী দিনের কথা চিন্তা করে সড়ক অবকাঠামোসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো সেই পরিকল্পনায় তৈরী করতে হবে। ইনল্যান্ড কন্টেইনার টার্মিনাল গুলো বন্দরকে ঘিরে তাদের কার্যক্রম পরিচালিত হয়। সে ক্ষেত্রে বন্দরের সক্ষমতা এবং কোন ধরনের প্রতিবন্ধকতা যেন না হয়, সে দিকে দৃষ্টি রাখতে হবে। একটি উন্নত শহর গড়তে হলে কন্টেইনার টার্মিনাল গুলোকে বন্দর থেকে প্রায় বিশ কিলোমিটার দূরে স্থাপন করা প্রয়োজন। তিনি আজ সকালে টাইগারপাসস্থ সিটি কর্পোরেশন সম্মেলন কক্ষে কন্টেইনার ইয়ার্ড মালিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, এ শহরের রাস্তার অবকাঠামো উন্নয়নে সরকারের এবং সিটি কর্পোরেশনের পাশাপাশি আপনাদের সহযোগিতা অপরিহার্য্য। আপনার সেবা গ্রহীতা, আমরা সেবা দাতা। আমরা চাই এ শহরের রাস্তাগুলো আপানাদের লড়ি ও ভারী যানবাহন চলাচলে উপযোগী করে দিতে। উন্নত দেশে কন্টেইনার পরিবহনের জন্য আলাদা সড়ক রয়েছে। বিষয়টি গুরুত্বতা বহন করলেও আর্থিক সক্ষমতার কারণে সিটি কর্পোরেশন একাজে হাত দিতে পারছে না। আপনাদের কাছে আহবান থাকবে আমাদের জন্য নূনতম একটি সার্ভিজ চার্জ দিয়ে সহযোগিতা করলে আমরা সত্যিকার অর্থে পরিপূর্ণ সড়ক অবকাঠামো তৈরীতে সক্ষম হবো। আপনারা ইয়ার্ড মালিকরা বসে নগরীর উন্নয়নে চসিককে কি পরিমাণ উন্নয়ন সার্ভিস চার্জ দেয়া যায় তা আপনার বসে ঠিক করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এ শহর আমাদের সকলের। আগামী প্রজন্মের জন্য আমাদের এই শহরকে সুন্দর, নিরাপদ ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলতে সকলকে ঐক্যভাবে এগিয়ে আসা প্রয়োজন। মালিকদের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বক্তারা বলেন, চসিকের পক্ষ থেকে যে সেবা দেয়া উচিত, তা অনেক উন্নত হয়েছে। চট্টগ্রাম শহর হচ্ছে বন্দর কেন্দ্রিক। তাই বন্দরকে কেন্দ্র করে এই নগরীর উন্নয়ন সম্ভব। তারা চট্টগ্রাম শহরের উন্নয়নে প্রশাসকের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন। এ সময় চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মুফিদুল আলম, রাজস্ব কর্মকর্তা শাহিদ ফাতেমা, প্রশাসকের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেমসহ কন্টেইনার ইয়ার্ড মালিকদের মধ্যে ইনকন ট্রেড লি. মি.’র নির্বাহী পরিচালক এস এম মফিদুল আলম, ইসহাক ব্রাদার্স ইন্ডাস্ট্রিজ লি. মি. পরিচালক ফাইনান্স আলহাজ্ব আবুল মনসুর, ম্যানেজার এডমিন এন্ড এইচআর মো. মুছা, শফি মোটর্স লি. মি. হেড অফ অপারেশন মো. মঈন উদ্দিন, ইষ্টার্ন লজিষ্টিক লি. মি. পরিচালক ফাইনান্স এ কে এম সাইদুল ইসলাম, নির্বাহী পরিচালক আবদুর রহমান, এস.এ.পি.এল ডাইরেক্টর ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলাম মজুমদার, গোল্ডেন কন্টেইনার লি. মি. ডাইরেক্টর বেনজির চৌধুরী প্রমুখ।