উত্তরপ্রদেশ থেকে প্রিয়াঙ্কার লড়াই শুরু

প্রথম রোড শো দিয়ে ভারতের উত্তরপ্রদেশ থেকে লোকসভা নির্বাচনের লড়াই শুরু করেছেন সদ্য রাজনীতিতে অভিষেক হওয়া প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। জানুয়ারিতে পূর্ব উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেস পার্টির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে রাজনীতিতে পা দেন সোনিয়াকন্যা প্রিয়াঙ্কা। ওই দায়িত্ব কাঁধে পাওয়ার পর সোমবারই প্রথম জনসম্মুখে হাজির হন তিনি। এর মধ্য দিয়ে শুরু হল তার নির্বাচনী প্রচার।

সোমবার বেলা ১টা নাগাদ লখনৌ বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর প্রিয়াঙ্কা কংগ্রেস পার্টি প্রেসিডেন্ট তথা, ভাই রাহুল গান্ধীকে পাশে নিয়েই রোড শো শুরু করেন।

এদিন সকাল থেকেই প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে অভ্যর্থনা জানাতে প্রস্তুত ছিল লখনৌ। প্রিয়াঙ্কার বড় বড় পোস্টার নিয়ে জমায়েত হয় কংগ্রেস কর্মীরা। কোনও পোস্টারে প্রিয়াঙ্কাকে দূর্গা দেবীর সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে, কোনোটাতে আবার দাদী ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে তার তুলনা এসেছে।

রাহুল গান্ধী এবং পশ্চিম উত্তর প্রদেশ জেনারেল সেক্রেটারি জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার সঙ্গে প্রিয়াঙ্কা মিছিলের সূচনাস্থালে পৌঁছতেই উল্লাসে ফেটে পড়ে জনতা। প্রিয়াঙ্কার গলায় ফুলের মালা দিয়ে তাকে অভ্যর্থনা জানান কংগ্রেস কর্মীরা। জবাবে হেসে হাত নাড়েন প্রিয়াঙ্কা। দেশাত্মবোধক গান আর স্লোগানের মধ্যে দিয়ে শুরু হয় দীর্ঘ শোভাযাত্রা।

বিমানবন্দর থেকে আলমবাগ, চারবাগ, হুসেনগঞ্জ, লালবাগ, হজরতগঞ্জ, মায়াবতীর হাতির মূর্তির পার্ক ঘেঁষে কংগ্রেস দফতর নেহরু ভবন পর্যন্ত সব মিলিয়ে ৩০ কিলোমিটার রাস্তা জুড়ে আয়োজন করা হয়েছিল এ রোড শোয়ের। সমর্থকদের ‘প্রিয়াঙ্কা দীর্ঘজীবী হোক’ স্লোগানে মুখরিত হয়েছে শোভাযাত্রা।

প্রিয়াঙ্কার রাজনীতিতে যোগ দেওয়া কংগ্রেসর ইতিহাসে এক স্মরণীয় মুহূর্ত বলে মন্তব্য করেছেন কংগ্রেস নেতারা। বিশ্লেষকরা বলছেন, লোকসভা নির্বাচনের এই আসন্ন মুহূর্তে কংগ্রেসের নির্বাচনী প্রচারে নতুন জোয়ার এনে দিতে পারেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী।

ভারতে ২০১৪ সালের নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদীর ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) কাছে হেরে গিয়েছিল কংগ্রেস পার্টি। সেই থেকে দলটির ঘুরে দাঁড়ানো অনেক কঠিন হয়ে পড়েছে।

এখন দলে প্রিয়াঙ্কার যোগদানে অনেকেই উৎসাহ পাচ্ছেন। পার্টির কর্মী-সমর্থকরাও উদ্যমী হয়ে উঠেছে। এবারের নির্বাচনে দলের জয় এবং মোদীকে পরাজিত করা নিয়ে জল্পনাও শুরু হয়ে গেছে তাদের মধ্যে।

সম্প্রতি ভারতে কয়েকটি রাজ্য নির্বাচনে কংগ্রেস ভাল ফলও করেছে। এতে দলের অবস্থান এখন কিছুটা শক্ত। কিন্তু তারপরও বিজেপি কে ধরাশায়ী করে ক্ষমতা পুনরুদ্ধার করা এখনো দলটির জন্য এক কঠিন চ্যালেঞ্জ।