হতদরিদ্রদের পাশে দাঁড়ালেন কাপ্তাইয়ের ইন্সপেক্টর আলমগীর

নজরুল ইসলাম লাভলু,কাপ্তাই:
চন্দ্রঘোনা রেশম বাগান পুলিশ চেকপোস্ট সংলগ্ন রাঙ্গুনীয়া উপজেলাধীন হোসনাবাদ ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডে ব্যক্তিগত রেশন বাঁচিয়ে হতদরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন কাপ্তাই সার্কেলের পুলিশ ইন্সপেক্টর মোহাম্মদ আলমগীর।
ইন্সপেক্টর আলমগীর রেশম বাগান চেকপোষ্টে করোনা মহামারীতে ডিউটি কালীন সময়ে স্থানীয় কৃষি ব্যাংক কর্মচারী এ্যানিমং মারমা প্রকাশ নির্মলের কাছ থেকে জানতে পারেন এই এলাকায় পঁয়ত্রিশটি হতদরিদ্র পরিবার রয়েছে, যারা রাঙ্গুনীয়া উপজেলার অন্তর্গত হোসনাবাদ ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের রেশম বাগান এলাকার বাসিন্দা। তারা উপজাতি সম্প্রদায়ের লোক হলেও ভৌগোলিক কারণে তারা নানাবিধ সাহায্য সহযোগিতা হতে বঞ্চিত। অন্যদিকে সমতলে অবস্থান হলেও তারা কাপ্তাই উপজেলার পার্শ্ববর্তী হওয়ায় অনেকে তাদেরকে কাপ্তাই উপজেলার বাসিন্দা মনে করে সমতলের সরকারি ত্রান সুবিধা থেকে বঞ্চিত করছেন। বিষয়টি ইন্সপেক্টর আলমগীর জানতে পেরে রাঙ্গুনীয়ার বিভিন্ন সুশীল সমাজ ও জনপ্রতিনিধিদের অবহিত করেন। পরবর্তীতে তিনি স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় এবং কৃষি ব্যাংক কর্মচারী এ্যানিমং মারমাকে সাথে নিয়ো গত বৃহস্পতিবার বিকাল ৫ টার সময় ব্যক্তিগত পারিবারিক রেশন হতে বাঁচিয়ে রাখা খাদ্য সামগ্রী থেকে উক্ত এলাকার হত-দরিদ্রের পরিবারের ঘরে ঘরে গিয়ে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন।
উক্ত খাদ্য সামগ্রী বিতরণের সময় উপস্থিত ছিলেন কৃষি ব্যাংক কর্মচারী এ্যানিমং মারমা, কাপ্তাই প্রেস ক্লাব সাধারণ সম্পাদক ঝুলন দত্ত, বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন চন্দ্রঘোনা শাখার সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ সেলিম, নিশ্চিন্তাপুর গাউসিয়া কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক প্রকৌশলী আজিজুল হক।
কৃষি ব্যাংক কর্মচারী এ্যানিমং মারমা জানান, ইতিপূর্বে এপ্রিল মাস হতে করোনা মহামারীর কারণে লক ডাউন পরিস্থিতিতে অত্র এলাকায় পুলিশ ইন্সপেক্টর মোঃ আলমগীর প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তার আর্থিক সহযোগিতা নিয়ে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ অব্যবহিত রেখেছেন। তিনি রাঙ্গুনীয়া উপজেলার জনপ্রতিনিধি ও উপজেলা প্রশাসনের প্রতি হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে সাহায্যে সহযোগিতার হাত প্রসারিত করার জন্য সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।