করোনার মধ্যে চোখ রাঙাচ্ছে ভারি বর্ষণ

এ.এম হোবাইব সজীব: টানা বর্ষণে ফলে পানি বেড়ে মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ী ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পানি বন্দি হয়ে পড়েছে অত্র এলাকার হাজারো মানুষ। তলিয়ে গেছে রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ী, দোকানপাট ও ফসলি জমি। ফলে প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। প্লাবিত এলাকায় সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ।

টানা বৃষ্টিতে উপজেলার মাতারবাড়ী ইউনিয়নের সিকদারপাড়া, উত্তর সিকদার, খন্দারবিল, উত্তর রাজঘাট, দক্ষিণ রাজঘাটের বিলপাড়া, নতুনবাজার, পুরানবাজারের পূর্ব পাশ, বলিরপাড়া, পশ্চিম মিয়ার পাড়া, তিতা মাঝির পাড়া, পূর্ব তিতা মাঝির পাড়া, ফুলজান মোরা, পূর্ব মাইজ পাড়া, মশরফ আলী সিকদার পাড়া, পূব মগডেই, দক্ষিণ মগডেইল, পূর্ব সাইরার ডেইল, মধ্যম সাইরার ডেইলসহ বিভিন্ন এলাকার রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি পানিতে তলিয়ে গেছে। এছাড়া মাতারবাড়ীর কিছু কিছু এলাকার মাছের ঘের পানির নিচে তলিয়ে গেছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, ভারী বর্ষণে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় ডুবে গেছে সড়ক ফসলি জমি, ঘরবাড়ি ও দোকানপাট। পানিতে তলিয়ে গেছে আউশ ধানের বিস্তীর্ণ বীজতলা। নিম্নাঞ্চলের পানি বন্দি মানুষ গবাদি পশু আর আসবাপত্র নিয়ে কোথায় যাবেন তা নিয়ে চিন্তায় আছেন অনেকই। এছাড়া পানি উঠে পড়ায় অনেক সড়ক দিয়ে যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।

অপরদিকে স্থানিয় চেয়ারম্যান মাস্টার মোহাম্মদ উল্লাহ পানি বন্দি মানুষের দুঃখ দুর্দশা দেখে খোঁজ নিতে নিজে গ্রামে গ্রামে ছুটে গেছেন। এবং বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অভিহিত করেছেন।

স্থানিয় বাসিন্দা শ্রমিকলীগ নেতা আবু মুছা কলিম উল্লাহ বলেন, আমার এলাকার ঘরবাড়ি পানিতে ডুবে গেছে। বাড়িতে রান্না পর্যন্ত করতে পারতেছেনা। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহযোগিতা প্রয়োজন হয়ে পড়েছে।

মাতারবাড়ী ইউনিয়নের মগডেইলের বাসিন্দা ব্যবসায়ী বৃদ্ধা বদর উদ্দিন বলেন, টানা বৃষ্টিতে লোকজন রাস্তায় একেবারেই কম বের হচ্ছে। তাই দোকানে বেঁচা কিনা তেমন নেই একদম। এছাড়া ও দোকানে পানিতে নিমজ্জিত হওয়ায় ক্ষতি সাধিত হয়েছে।

মাতারবাড়ী ইউপি সদস্য জাহেদুল ইসলাম বলেন,পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় মাতারবাড়ীতে পানি বন্দি হয়ে পড়েছে লোকজন।

মাতারবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান মাস্টার মোহাম্মদ উল্লাহ বলেন, টানা বৃষ্টিতে মাতারবাড়ীর বিভিন্ন এলাকার নিম্নাঞ্চল তলিয়ে গেছে, কয়লাবিদ্যুৎ প্রকল্প কর্তৃপক্ষ পানি নিষ্কাশনের চলাচলের রাস্তায় বাঁধ দিয়ে বন্ধ করায় আজ আমাদের এ করুন অবস্থা।

মহেশখালী উপজলা নির্বাহী অফিসার জামিরুল ইসলাম বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের খবরা-খবর নেওয়া হচ্ছে।

স্থানিয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আশেক উল্লাহ রফিক বলেন,মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়ায় পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা করার জন্য কোল পাওয়ার কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ করেছি।