আর্সেনালকে উড়িয়ে দিল সিটি

করোনাভাইরাস সংকট মাথায় রেখেই একশো দিন পর মাঠে গড়াল মাঝ পথে থমকে থাকা ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের চলতি মৌসুম। আর ফেরার ম্যাচে দুর্দান্ত নৈপুণ্য দেখাল ম্যানচেস্টার সিটি। নিজেদের মাঠে প্রতিপক্ষ আর্সেনালকে উড়িয়ে দিয়েছে তারা।

ইতিহাদ স্টেডিয়ামে বুধবার রাতের ম্যাচটিতে গানারদের ৩-০ গোলে হারায় পেপ গার্দিওলার দল। বিরতিতে যাওয়ার ঠিক আগ মুহূর্তে দলকে এগিয়ে নেন রাহিম স্টার্লিং। দ্বিতীয়ার্ধে একটি করে গোল করে দলের বড় জয় নিশ্চিত করেন কেভিন ডি ব্রুইনে ও ফিল ফোডেন।

এই জয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকা লিভারপুলের সঙ্গে কিছুটা ব্যবধানও কমিয়েছে সিটি। এখন পর্যন্ত ২৯ ম্যাচ খেলে লিগের গত আসরের চ্যাম্পিয়নদের পয়েন্ট ৬০। সমান ম্যাচ খেলে ২২ পয়েন্ট বেশি নিয়ে শীর্ষে আছে শিরোপা জয়ের দ্বারপ্রান্তে থাকা লিভারপুল।

আর্সেনালকে হারিয়ে লিভারপুলের শিরোপা জেতা নিয়েও অপেক্ষা বাড়ল সিটি। ম্যাচটিতে দলটি হেরে গেলে আগামী রবিবার এভারটনের মাঠে জয় পেয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আনন্দে মাততে পারত লিভারপুল। সিটি পয়েন্ট ব্যবধান কমিয়ে আনায় তা আর হচ্ছে না।

সিটি-আর্সেনালের ম্যাচ শুরু হওয়ার আগে করোনায় মৃত্যুবরণ করা সবার উদ্দেশ্যে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপর হাঁটু গেড়ে বসে চলমান বর্ণবাদ বিরোধী আন্দোলন ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’ এ সমর্থন জানায় খেলোয়াড় ও ম্যাচ অফিশিয়ালরা।

নিজেদের মাঠে ম্যাচের শুরু থেকেই বল দখল ও আক্রমণে আধিপত্য দেখায় সিটি। তবে গোল পেতে অনেকটা সময় অপেক্ষা করতে হয়েছে। দাভিদ সিলভা ও রিয়াদ মাহরেজের বেশ কয়েকটি গোল চেষ্টা ব্যর্থ করে দেয় আর্সেনালের গোলকিপার বের্নার্ড লেনো। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে গোল শূন্যতা কাটায় স্বাগতিক দল। ছয় গজ দূরে বল পেয়ে ডান পায়ের শটে অনায়াসে জালে জড়ান রাহিম স্টার্লিং।

বিরতি থেকে ফেরার চতুর্থ মিনিটে ১০ জনের দলে পরিণত হয় আর্সেনাল। মাহরেজকে ফাউল করে লাল কার্ড দেখেন অতিথি দলের দাভিদ লুইস। পেনাল্টি পায় সিটি। স্পট কিক কাজে লাগাতে ভুল করেননি ডি ব্রুইনে।

ম্যাচের শেষ দিকে আক্রমণের মাত্রা আরও বাড়ায় সিটি। যোগ করা সময়ে সের্হিও আগুয়েরোর একটি শট গোলপোস্টে লাগে। একেবারে শেষ সময়ে ফাঁকা জায়গায় বল পেয়ে দলকে আরও একটি গোল এনে দিতে ভুল করলেন না বদলি নামা ফিল ফোডেন।