১০৬ টন কোটেড শিট এর বদলে ২২৫ প্যাকেট টাইলস

পাঁচ কনটেইনারে আসার কথা ছিলো ১০৬ টন প্লাস্টিক ভার্নিশড বা কোটেড শিট। কিন্তু বন্দরে কনটেইনারগুলো খুলে পাওয়া গেলো মাত্র ২২৫ প্যাকেট টাইলস। প্রতি কনটেইনারে ৪৫ প্যাকেট করে।

গত ১৪ জুন কনটেইনার খুলে কায়িক পরীক্ষার পর বিষয়টি নিশ্চিত হয় চট্টগ্রাম কাস্টমসের অডিট ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড রিসার্চ (এআইআর) শাখা।

কাস্টম হাউস সূত্র জানায়, ঢাকার বংশালের ১৩৯ মাজেদ সরদার সড়কের কামাল স্টিল হাউস চীন থেকে পাঁচ কনটেইনারে ১ লাখ ৬ হাজার কেজি জিপি শিট আমদানির ঘোষণা দেয়।

এনসিসি ব্যাংক থেকে প্রায় ৬০ হাজার মার্কিন ডলার বাংলাদেশি টাকায় ৫২ লাখ টাকা ঋণপত্র খোলে তারা। এমভি মেরিন তারাবা জাহাজে চালানটি বন্দরে পৌঁছানোর পর আমদানিকারকের নিয়োজিত সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট চট্টগ্রামের শেখ মুজিব রোডের ইউনিকো ইন্টারন্যাশনাল গত ৯ জুন চালানের বিপরীতে শুল্ক পরিশোধ করে।

৫৩ শতাংশ শুল্কহারে সোনালী ব্যাংক কাস্টম হাউস শাখায় গত ১১ জুন চালানটির জন্য ৩৩ লাখ ৪২ হাজার টাকার শুল্ক পরিশোধ করে। এরপর নিয়মানুযায়ী পণ্য কায়িক পরীক্ষা করার সময় দেখা যায় সেখানে পাঁচটি কন্টেইনারের কোনোটিতে ভার্নিশড শিট নেই। ৪৫ প্যাকেট করে টাইলস রয়েছে সব কনটেইনারে।

ধারণা করা হচ্ছে হয় টাকা পাচার করে দেওয়া হয়েছে অথবা সরবরাহকারীর ভুলের কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে।

এআইআর শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা ইমরুল হোসাইন বলেন, টাকা পাচারের বিষয়টি খুব বেশি মনে করছি না। কারণ আমদানিকারক ইতিমধ্যে কাস্টমসে উচ্চ শুল্ক পরিশোধ করেছন।

এরপরও আমরা বিষয়টি উড়িয়ে দিচ্ছি না। সরবরাহকারীর ভুলেও হতে পারে। সব বিষয় মাথা রেখেই তদন্ত করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, কনটেইনারের সিলগালা ঘোষণা অনুযায়ী ঠিক ছিল। কিন্তু ভেতরে ঘোষিত পণ্যের সন্ধান মিলেনি। তবে ২২৫ প্যাকেট টাইলস পাওয়া যায়।

এ ঘটনার পর আমদানিকারকের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট ব্যাংককে ঋণপত্রের বিপরীতে টাকা ছাড় না দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। চীনের সরবরাহকারীরা ভুলে বা ইচ্ছে করে এমন কাজ করতে পারে।