করোনায় যুক্তরাজ্যে মৃতের সংখ্যা প্রায় ৫০০০০: পরিসংখ্যান অধিদপ্তর

যুক্তরাষ্ট্রে করোনা ভাইরাস (কভিড-১৯) আক্রান্ত মৃতের সংখ্যা প্রায় ৫০ হাজার ছুঁই ছুঁই করছে। মঙ্গলবার দেশটির জাতীয় পরিসংখ্যান অধিদপ্তর (ওএনএস) প্রকাশিত হিসাবে এ তথ্য উঠে এসেছে। নতুন এই হিসাব অনুসারে, বিশ্বে যুক্তরাষ্ট্রের পর প্রথম দেশ হিসেবে ৫০ হাজার করোনা আক্রান্তের মৃত্যুর তালিকায় যুক্ত হতে যাচ্ছে বৃটেনের নাম। ওএনএস জানিয়েছে, ২২মে পর্যন্ত কেবল ইংল্যান্ড ও ওয়েলসেই মারা গেছেন ৪৩ হাজার ৮৭০ জন করোনা রোগী। স্কটল্যান্ড ও নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডসহ সে সংখ্যা ৪৯ হাজারের বেশি। এ খবর দিয়েছে দ্য গার্ডিয়ান।
খবরে বলা হয়, গত সাত সপ্তাহে যুক্তরাজ্যে করোনায় দৈনিক মৃতের হার মহামারি শুরুর পর থেকে সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছেছে। কিন্তু স্কটল্যান্ড ও নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডের সর্বশেষ হিসাব এবং পুরো যুক্তরাজ্যের হাসপাতালের দৈনিক হিসাবগুলো যোগ করলে দেখা যায় যে, দেশটিতে করোনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়ায় ৪৯ হাজার ৩৬৮ জনে। কেয়ার হোমস ও অন্যান্য ক্ষেত্র বিবেচনায় নিলে দেশটিতে মৃত করোনা রোগীর সংখ্যা ইতিমধ্যে ৫০ হাজার অতিক্রম করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গত ২৩শে মে থেকে ২৯শে মে পর্যন্ত, ইংল্যান্ড ও ওয়েলসের কেয়ার হোমসগুলোয় করোনা সংশ্লিষ্ট ৫৭৮টি মৃত্যুর কথা জানিয়েছে কর্তৃপক্ষরা।
আগামীকাল বুধবার এ বিষয়ক সর্বশেষ তথ্য প্রকাশ করার কথা রয়েছে স্কটল্যান্ডের।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে পুরো বিশ্বের মধ্যে করোনায় প্রাণহানি বিবেচনায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাজ্য। প্রথম স্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সেখানে এখন পর্যন্ত এই ভাইরাসে প্রাণ হারিয়েছেন ১ লাখের বেশি মানুষ। একইসঙ্গে যুক্তরাজ্যে চলতি বছর মৃত্যুহার গত পাঁচ বছরের গড় হারের তুলনায় ২২ শতাংশ বেশি রয়েছে এখন পর্যন্ত। ওএনএসের উপাত্ত অনুসারে, ইংল্যান্ড ও ওয়েলসে সার্বিক মৃত্যু হয়েছে ৮৮ হাজার ১৫৩ জনের। ২০১৯ সালের তুলনায় এ সংখ্যা গত বছরের প্রায় দ্বিগুণ। ওই মাসে যুক্তরাজ্যে করোনার প্রাদুর্ভাব সর্বোচ্চ পর্যায়ে ছিল। মার্চ মাসের তুলনায় এপ্রিলে মৃতের সংখ্যায় ৩৮ হাজার ৪৩০ জনের বেশি মানুষ মারা গেছেন।