কিশোরগঞ্জের নিকলী হাওরে গোসলে নেমে নিখোঁজ দুই পর্যটকের একজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। আজ বেলা পৌনে ১১টার দিকে উপজেলার সিংপুর ইউনিয়নের ঘোড়াদীঘা গ্রাম সংলগ্ন ঘোড়াউত্রা নদীপাড়ের কেওড়া গাছতলা এলাকা থেকে নিখোঁজ পর্যটক রনির মরদেহ উদ্ধার করে ডুবুরিরা। তবে এখনো নিখোঁজ রয়েছেন আরেক পর্যটক মো. আলমগীর মিয়া (২১)।
জানা গেছে, গতকাল ঢাকা থেকে ৫৫-৬০ জনের দুটি পর্যটক দল নিকলী হাওরে আনন্দ ভ্রমণে আসেন। ট্রলারে করে হাওর ঘুরে শুক্রবার বিকেলের দিকে নিকলীর ঘোড়াদীঘা গ্রাম সংলগ্ন ঘোড়াউত্রা নদীর পাড়ে কেওড়া গাছতলায় অন্যদের সঙ্গে রনি ও আলমগীর গোসল করতে নামেন। এ সময় অন্যরা গোসল করে পাড়ে উঠতে পারলেও নিখোঁজ হন রনি ও আলমগীর। খবর পেয়ে নিকলী থানা পুলিশের একটি দল দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার কাজ শুরু করে। তারা কিশোরগঞ্জ থেকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলকে ডেকে নেয়।
সন্ধ্যা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়েও তাদের খোঁজ মেলেনি। শনিবার সকালে ফের ডুবুরি দল তাদের খোঁজে অভিযান চালায়। বেলা পৌনে ১১টার দিকে রনির মরদেহ উদ্ধার করতে সক্ষম হলেও নিখোঁজ রয়েছেন আলমগীর মিয়া।
নিহত রনির বাড়ি কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার কোয়ালবাজার গ্রামে। তার পিতার নাম জসিম উদ্দিন। নিখোঁজ আলমগীর গাইবান্ধা সদর উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের মো. সাইদুরের ছেলে। তারা দুজনই রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে বসবাস করতেন এবং পিকআপভ্যান চালাতেন।
