স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে জাতিসংঘে হাসিনা-মোদি

বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তীতে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘে ভাষণ দিচ্ছেন।

৫০ বছর আগে জাতিসংঘের একই অধিবেশনে বাংলাদেশ ও ভারতের কূটনীতিকরা যে ভূমিকা পালন করেছিলেন, তাকে পুনরায় স্মরণ করা হচ্ছে।

 

বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে মুক্তিবাহিনী এবং ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর ভূমিকা পালন করে। সেই সময়ে আন্তর্জাতিক মঞ্চে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিষয়টিকে তুলে ধরতে ভারত কূটনৈতিক উদ্যোগও গ্রহণ করে।

১৯৭১ সালের সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশের সমর্থনে ভারত একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজন করে। সেই অনুষ্ঠানে ২৪টি দেশ অংশগ্রহণ করেছিল। দেশগুলো বাংলাদেশের স্বাধীনতার সমর্থনে আওয়াজ তুলেছিল। একই সঙ্গে তখন পাকিস্তানি সৈন্যদের নিষ্ঠুর বর্বরতা ও গণহত্যার জন্য বাংলাদেশ থেকে ১০ লাখ মানুষ ভারতে আশ্রয় নেওয়ার বিষয়টিও তুলে ধরা হয়।

৫০ বছর আগে ১৯৭১ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে ভারতের তৎকালীন পররাষ্ট্র মন্ত্রী সর্দার স্বর্ণ সিংয়ের নেতৃত্বে ভারতীয় প্রতিনিধিদল তখনকার পূর্ব পাকিস্তানে কী ধরনের নিষ্ঠুরতা সংগঠিত হয়েছিল, সেটি সারা বিশ্বের সামনে তুলে ধরে।

ওই সময় সাধারণ অধিবেশনে স্বর্ণ সিং পূর্ব পাকিস্তানে সন্ত্রাসের রাজত্বের কথা বলেছিলেন। তিনি পাকিস্তানের জেল হেফাজতে থাকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে মুক্তি দেওয়ার কথাও বলেছিলেন।

তিনি বলেছিলেন, ওই এলাকায় আন্তর্জাতিক রেড ক্রসকে যেতে দেওয়া হয়নি এবং বিশ্বের সেই অংশে কী হচ্ছে, তা গোপন করার জন্য সবধরনের প্রচেষ্টা করা হয়েছিল। চারদিকজুড়ে সংগঠিত হচ্ছে হত্যা, ধর্ষণ, অগ্নি সংযোগ এবং লুটতরাজ।

ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী বাংলাদেশের স্বাধীনতার সমর্থন জোগাতে বিশ্বের বিভিন্ন রাজধানী সফর করেছিলেন। ওই সময় তিনি যুক্তরাজ্য, পূর্ব ও পশ্চিম জার্মানি, ফ্রান্স, রাশিয়া ও পোলান্ডের সহানুভূতি ও সমর্থন আদায় করতে সক্ষম হন।

স্বাধীনতার ৫০ বছর আগে ভারত জাতিসংঘে বাংলাদেশের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিল। এখন ৫০ বছর পর জাতিসংঘে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বক্তব্য দিচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুক্রবার ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শনিবার নিজ নিজ দেশের পক্ষে বক্তব্য রাখবেন। দুই নেতার মধ্যে সাইড লাইন বৈঠকও হতে পারে।