আবারও আফগান নারীদের নারীদের অধিকার হারানোর শঙ্কা

আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর, তালেবানের নতুন সরকারের বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে, যেগুলো তাদের ২০ বছর আগের শাসনামলকেই মনে করিয়ে দিচ্ছে।

এবারও তালেবানের অধীনে নারীদের অধিকার হারানোর শঙ্কা রয়েছে।

নতুন সরকারের শীর্ষ পর্যায়ে নারী প্রতিনিধি না রাখা, সাবেক নারীবিষয়ক মন্ত্রণালয় বন্ধ করে দেওয়ায় নারীরা বিক্ষোভে নেমেছেন কাবুলে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, রোববার দেশটির সাবেক নারীবিষয়ক মন্ত্রণালয় বন্ধের প্রতিবাদে নিজেদের অধিকারের দাবিতে বিক্ষোভ করছেন আফগান নারীরা।

তালেবান সরকার নারীবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নাম বদলে নীতিনৈতিকতা-বিষয়ক মন্ত্রণালয় করেছে।

বিক্ষোভে অংশ নেওয়া বাসিরা তাওয়ানা নামের এক নারী বলেন, ‘আফগানিস্তানের আজকের নারীরা ২৬ বছর আগের নারী নয়। ’নারীবিষয়ক মন্ত্রণালয় অবশ্যই পুনরায় চালু করতে হবে। নারীদের সরিয়ে দেওয়া মানে মানুষকেই সরিয়ে দেওয়া।

১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত তালেবান আফগানিস্তানের ক্ষমতায় ছিল। তখন তারা মেয়েদের স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিল। নিষিদ্ধ করেছিল বাইরে নারীদের চাকরি করা।

তালেবান সরকারের বিরুদ্ধে এর আগেও বিক্ষোভ হয়েছে। তলেবান সরকারের মন্ত্রিসভা নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলও সমালোচনা করছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন বলেছে, তালেবান যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তা রক্ষা করতে পারেনি। এছাড়া মন্ত্রিসভা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

এর আগে ১৫ আগস্ট কাবুলে প্রবেশের মধ্য দিয়ে গোটা আফগানিস্তানে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে তালেবান। ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের টুইন টাওয়ারে হামলার এক মাসের মাথায় আল-কায়েদাকে আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ তুলে আফগানিস্তানে সামরিক অভিযান শুরু করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। অভিযানের এক মাস পর আফগানিস্তানের তৎকালীন তালেবান সরকার ক্ষমতাচ্যুত হয়। এর ২০ বছর পর ২০২১ সালের ৩০ আগস্ট মার্কিন সেই অভিযানের সমাপ্তি হওয়ায় ফের ক্ষমতায় ফিরেছে তালেবান।