চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (চবিসাস) উদ্যোগে চবি সাংবাদিকদের নিয়ে তিন দিনব্যাপী সাংবাদিকতার বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কর্মশালা সম্পন্ন করেছে প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি)।
রোববার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টায় এ কর্মশালা শেষ হয়।
কর্মশালার প্রথম দিন ‘সংবাদ ধারণা ও রিপোর্ট লেখার কলাকৌশল’ বিষয়ে প্রশিক্ষক ছিলেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক কাজী আনিস।
দ্বিতীয় দিন ‘ফিচার, সাক্ষাৎকার ও ফ্যাক্ট চেক’ বিষয়ে প্রশিক্ষক ছিলেন দৈনিক আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগের প্রধান সাহস মুস্তাফিজ। তৃতীয় ও শেষ দিন অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের ওপর প্রশিক্ষণ দেন নিউইয়র্ক টাইমসের জুলফিকার আলি মানিক।
পিআইবির মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদের সভাপতিত্বে সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক বেনু কুমার দে। কর্মশালার সমন্বয়ক ছিলেন পিআইবির সহকারী প্রশিক্ষক বারেক কায়সার। বক্তব্য দেন চবিসাসের সভাপতি ইমরান হোসাইন ও সাধারণ সম্পাদক মনোওয়ার রিয়াজ মুন্না।
পিআইবির মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ বলেন, আমরা এ বন্ধের সুযোগে একটি সুন্দর প্রশিক্ষণ কর্মশালা সম্পন্ন করলাম। আমি যখন চট্টগ্রাম ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সংবাদ করেছি তখন ক্যাম্পাসে অনেক বাধাবিপত্তির সম্মুখীন হয়েছি। অনেক সময় ক্যাম্পাসে আমাকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। রিপোর্টের জন্য মামলা খেতে হয়েছে। আজ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক সুন্দর আর সতেজ।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার বলেন, আমি আশির দশকের ছাত্রী ছিলাম। তখন ক্যাম্পাসের পরিবেশ অন্যরকম ছিল। সেসময় সাংবাদিকদের অনেক কষ্ট করে সাংবাদিকতা করতে হতো৷ ওই সময়ের সাংবাদিকরা অগ্রগামী ভূমিকা রাখায় আমাদের ছেলেরা আজ সাংবাদিকতা করতে পারছে। পিআইবি সাংবাদিকদের দক্ষতা উন্নয়নে যে কার্যক্রম হাতে নিয়েছে তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমি মনে করি এমন প্রশিক্ষণ সাংবাদিকদের আরও শাণিত করবে।
উপ-উপাচার্য (একাডমিক) অধ্যাপক বেনু কুমার দে বলেন, একজন সাংবাদিক জাতির দর্পণ। সমাজে একজন শিক্ষক থেকেও সাংবাদিকের দাম অনেক বেশি৷ তাই সাংবাদিকদের অবশ্যই বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করতে হবে। একজন সাংবাদিক সমাজ বিনির্মাণে অনেক অবদান রাখেন৷ শুধু ভুল ধরে নয়, দিকনির্দেশনা দিয়েও সাংবাদিকদের সমাজকে এগিয়ে নিতে হবে।
