ফোরজি মোবাইল হ্যান্ডসেট সর্বনিম্ন ৪২৯০ টাকায় পাওয়া যায় : বিটিআরসি

দেশে স্থানীয় ব্র্যান্ডের ফোরজি মোবাইল হ্যান্ডসেট সর্বনিম্ন ৪২৯০ টাকায় পাওয়া যায় বলে জানিয়েছে বিটিআরসি।

আর এই দাম আরও কমবে বলে আশা করছে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থাটি।

বিটিআরসির সংশ্লিষ্ট বিভাগের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা বলছেন, বাংলাদেশে পরিপূর্ণভাবে মোবাইল হ্যান্ডসেট উৎপাদন এবং সংযোজন শুরু হয়েছে এবং সেই সাথে কিছু ক্ষেত্রে আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতি ব্যাটারি, চার্জার, ডিসপ্লে, প্রসেসরসহ অন্যান্য চিপ উৎপাদন করা হচ্ছে । সে অনুযায়ী ফোরজি হ্যান্ডসেটএর দাম তুলনামূলক কমেছে।

‘বর্তমানে ফোরজি লোকাল-ব্র্যান্ডেড হ্যান্ডসেট সর্বনিম্ন ৪ হাজার ২৯০ টাকা এবং আন্তর্জাতিক-ব্র্যান্ডেড হ্যান্ডসেট সর্বনিম্ন ৬ হাজার টাকায় পাওয়া যাচ্ছ’ উল্লেখ করেন তিনি।

দেশের হ্যান্ডসেটের দাম নিয়ে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত গণশুনানিতে প্রশ্ন করা হয় যে,‘সম্প্রতি ভারতে হ্যান্ডসেট ডিভাইসের সর্বনিম্ন মূল্য ২০ ডলার হলেও বাংলাদেশে সর্বনিম্ন মূল্য ৯০ ডলার হবার কারণ কি?

এই প্রশ্নের উত্তরে বিটিআরসির সিস্টেমস এন্ড সার্ভিসেস বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো: নাসিম পারভেজ জানান, বাংলাদেশের তুলনায় ভারতের মোবাইল হ্যান্ডসেট বাজার প্রায় ৪ গুণ বড়। বাংলাদেশে যেখানে বছরে ৪ কোটি হ্যান্ডসেট বিক্রয় হয়, সেখানে ভারতে বিক্রয় হয় প্রায় ১৫ কোটি হ্যান্ডসেট, বিধায় মূল্যে তারতম্য হওয়া স্বাভাবিক।

তখন তিনিও বলেন, ফোরজি হ্যান্ডসেটের স্থানীয় উৎপাদন ও বিক্রয় আরও বাড়লে এই দাম সময়ের সাথে আরও কমবে।

ওই প্রশ্নের উত্তরে তিনি আরও বলেন, ভারতে হ্যান্ডসেট ডিভাইসের মূল্য কমানোর পেছনে বড় একটি কারণ হলো ভারত এখন নিজেদের দেশেই মোবাইল ফোন এবং আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতি উৎপাদন এবং সংযোজন করছে। ভারত ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ প্রকল্পের আওতায় অ্যাপল, স্যামসাং, শাওমি এবং ওয়ান প্লাসের মতো চীনা সংস্থাগুলো মোবাইল ফোন এবং আনুসাঙ্গিক যন্ত্রপাতি উৎপাদন ও সংযোজনে কাজ শুরু করেছে। ফলে ভারতে মোবাইল ফোনের দাম কমেছে।

‘বাংলাদেশ ইতোমধ্যে মোবাইল ফোন সংযোজন এবং উৎপাদন শুরু হয়েছে। যার ফলে মোবাইল ফোনের দাম উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। কিন্তু মোবাইল ফোনের সাথে আনুসাঙ্গিক যন্ত্রপাতি যেমন ব্যাটারি, চার্জার, ডিসপ্লে, প্রোসেসর ইত্যাদি উৎপাদন এখনও শুরু হয়নি। ভবিষ্যতে মোবাইল ফোন উৎপাদনের সাথে সাথে আনুসাঙ্গিক যন্ত্রপাতি উৎপাদন শুরু হলে মোবাইল ফোনের দাম আরও হ্রাস পাবে’ উল্লেখ করেন বিটিআরসির এই কর্মকর্তা।