অনিবন্ধিত সব অনলাইন নিউজ বন্ধ করে দেওয়া সমীচীন হবে না-তথ্যমন্ত্রী

সাত দিনের মধ্যে দেশের অনিবন্ধিত সকল অনলাইন বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, এই সিদ্ধান্ত নেওয়া সমীচীন হবে না। এ বিষয়ে তিনি আদালতকে অবহিত করবেন বলেও জানান।

বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে নিজ দফতরে এ নিয়ে সংবাদ ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী।

তিনি বলেন, আদালতকে আমরা জানাব সাত দিনের মধ্যে সবগুলো বন্ধ করে দেওয়া ঠিক হবে না। দেশে এতো অনলাইনের দরকার নেই। আমরা অনেকগুলো বন্ধ করব, আদালতকে তা জানাবো।
তিনি আরও বলেন, অনলাইনগুলোর আবেদনের পর যাচাই-বাছাই করার জন্য আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠাই। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এগুলো তদন্তকারী সংস্থাকে দেয়। সেটি শেষ করে না আসা পর্যন্ত আমরা দিতে পারি না। এ কারণে সময় লাগছে।

মন্ত্রী বলেন, এখন যেগুলো নিবন্ধনপ্রাপ্ত, সেগুলো ছাড়া আর কোনো অনলাইন ভবিষ্যতে বের হবে না তেমন নিয়মতো নেই। আজকে যেসব পত্রিকা আছে, সেগুলো ছাড়া ভবিষ্যতে আর কোনো পত্রিকা বের হবে না, তেমন নিয়মও নেই। এই নিয়ম আমাদের দেশেও নেই, অন্য কোনো দেশে আছে কি না, তাও জানা নেই।

আদালতের আদেশটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও সহায়ক আদেশ বলেও মনে করনে সরকারের এ মন্ত্রী। তিনি বলেন, যে সকল অনলাইন সত্যিকার অর্থে গণমাধ্যম হিসেবে কাজ করে না, নিজস্ব বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করে এবং ব্যাঙয়ের ছাতার মতো এত অনলাইন আসলে দেশে প্রয়োজন নেই।

তিনি বলেন, যার যেমন ইচ্ছে একটি অনলাইন খুলে বসবে এবং সেটি নিয়ে যেমন ইচ্ছে তেমন সংবাদ পরিবেশন করবে, মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করবে, গুজব রটানোর কাজে ব্যস্ত হবে, অন্যের চরিত্র হনন করবে, ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে পরিচালিত হবে, কোন ব্যবসায়িক স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য সেখানে লেখালেখি হবে, এটি কখনোই উচিত নয়। সেক্ষেত্রে এ আদেশ অবশ্যই একটি সহায়ক আদেশ।
মন্ত্রী বলেন, আমরা আদালতের লিখিত কপি পাওয়ার পর যে সময়সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছে, সে সময়সীমার মধ্যে অবশ্যই কিছু অনলাইন বন্ধ করব, তবে ভবিষ্যতেও অনলাইন রেজিস্ট্রেশন দিতে হবে। একটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নিবন্ধন দেওয়া হচ্ছে।

এর আগে গত মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) অনিবন্ধিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত। আদালতের আদেশ পাওয়ার সাত দিনের মধ্যে বিটিআরসির চেয়ারম্যান ও প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যানকে এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়।