পারেননি ব্যাটসম্যানরা

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে শেষ সিরিজ। বিশ্বকাপের দল ঘোষণাও হয়ে গেছে। আইসিসির বিশ্ব আসরে ব্যাটিং উইকেটে রান তোলার চ্যালেঞ্জ নিতে হবে। তার একটা ‘মহড়া’ দেখার সুযোগ এসেছিল। ব্যাটসম্যানরা ব্যর্থ হওয়ায় রান তাড়ার রোমাঞ্চ দেখা হয়নি। শুক্রবার সিরিজের পঞ্চম ও শেষ ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে নিউজিল্যান্ড তোলে ৫ উইকেটে ১৬১ রান। অন্য ম্যাচের চেয়ে কিছুটা সহজ ছিল মিরপুরের উইকেটে ব্যাটিং করা। বিশ্ব আসরের আগে নিজেদের ঝালিয়ে নেয়ার সুযোগটা কাজে লাগাতে পারেননি ব্যাটসম্যানরা।

৮ উইকেটে ১৩৪ রানে থামে বাংলাদেশের ইনিংস। ২৭ রানে হারলেও ৩-২ ব্যবধানে সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ। যা কিউইদের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়।
আগেই সিরিজ জয় নিশ্চিত করায় চাপমুক্ত হয়ে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পান লিটন-সৌম্যরা। বড় লক্ষ্য টপকাতে পাওয়ার প্লেতে রান তোলার গতি বাড়ানোর তাড়া থাকে ওপেনারদের। তবে নাঈম শেখ ও লিটন দাস শুরুটা করেছিলেন ধীর গতিতে। দলীয় ২৩ রানে সাজঘরে ফেরেন লিটন দাস (১২ বলে ১০ রান)। সিরিজের প্রথমবার ব্যাটিংয়ে নামা সৌম্য সরকার দুই অঙ্ক ছোঁয়ার আগেই সাজঘরে। কোল ম্যাকনকির শিকার হওয়ার আগে করেন ৯ বলে ৪ রান। ব্যাট হাতে ছন্দ খুঁজে পেতে ব্যর্থ মুশফিকুর রহীমও (৮ বলে ৩ রান)। ৯ ওভারে ৪৬ রানে নেই ৪ উইকেট। সেখান থেকে বাংলাদেশকে স্বপ্ন দেখাচ্ছিলেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ও আফিফ হোসেন। পঞ্চম উইকেটে দু’জনে গড়েন ৬৩ রানের জুটি। রিয়াদকে (২১ বলে ২৩ রান) কুগেলেইন ফেরালে আবারো চাপে পড়ে বাংলাদেশ। শেষ ২৪ বলে ৫৩ রানের চ্যালেঞ্জ জিততে পারেননি নুরুল হাসান সোহান ও শামীম হোসেন। এই দুই ব্যাটসম্যানের দায়িত্ব দ্রুত রান তোলার। দু’জনই ফিরেছেন ব্যর্থ হয়ে। সোহান ৪ ও শামীমের ব্যাট থেকে আসে ২ রান। ব্যতিক্রম ছিলেন আফিফ হোসেন। তার দারুণ ইনিংসটি বিফলে গেছে সতীর্থদের ব্যর্থতায়। আফিফের সঙ্গী হয়েছে ফিফটি না পাওয়ার আক্ষেপ। তিন ছক্কা ও দুই বাউন্ডারিতে ৩৩ বলে ৪৯ রানে অপরাজিত থাকেন আফিফ।
ব্যাটিংয়ের মতো বোলিংয়েও দারুণ নৈপুণ্য দেখিয়েছে দ্বিতীয় সারির দল নিয়ে বাংলাদেশ সফরে আসা নিউজিল্যান্ড। উইকেট পেয়েছেন ছয় বোলারই। ২টি করে উইকেট শিকার এজাজ প্যাটেল ও স্কট কুগেলেইনের।
সাকিব আল হাসান ও মোস্তাফিজুর রহমান না থাকায় বোলিংয়ে শক্তি হারায় বাংলাদেশ। সিরিজের পঞ্চম ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ঝোড়ো শুরু করে নিউজিল্যান্ড। পাওয়ার প্লে’র শেষ ওভারে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে ৩ বলের ব্যবধানে উড়ন্ত শুরু এনে দেয়া দুই কিউই ওপেনারকে সাজঘরের পথ ধরান শরিফুল ইসলাম। রাচিন রবীন্দ্র ১২ বলে ১৭ ও ফিন অ্যালেন করেন ২৪ বলে ৪১ রান। উইল ইয়ং ও কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম দুই অঙ্ক ছুঁতে ব্যর্থ। তাসকিনের শিকার হয়ে ফেরার আগে হেনরি নিকোলস খেলেন ২১ বলে ২০ রানের ইনিংস। পঞ্চম উইকেটে ল্যাথামের সঙ্গে গড়েন ৩৫ রানের জুটি। ষষ্ঠ উইকেটে কোল ম্যাকনকিকে নিয়ে আরেকটি দারুণ জুটি গড়েন ল্যাথাম। ২১ বলে ৪৩ রান তোলেন দু’জন। ৩৭ বলে ২ ছক্কা ও ২ বাউন্ডারিতে ৫০ রানে অপরাজিত থাকেন কিউই অধিনায়ক। ম্যাকনকি খেলেন ১০ বলে ১৭ রানের অপরাজিত ইনিংস।
প্রথম চার ম্যাচে অভিন্ন একাদশ নিয়ে খেলেছে বাংলাদেশ। সিরিজের শেষ ম্যাচে একাদশে চারটি পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নামে টাইগাররা। সুযোগ পান সৌম্য সরকার, শামীম হোসেন পাটোয়ারী, শরিফুল ইসলাম ও তাসকিন আহমেদ। সাকিব আল হাসান, মোস্তাফিজুর রহমান, মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন ও শেখ মেহেদি হাসানকে দেয়া হয় বিশ্রাম।