তালেবান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে আখুন্দ প্রধানমন্ত্রী

আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার তিন সপ্তাহ পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ঘোষণা করে তালেবান। এতে মোল্লা মোহাম্মদ হাসান আখুন্দকে প্রধানমন্ত্রী করা হয়েছে।

এ সরকারে রয়েছেন আরও ডজনখানেকের বেশি মন্ত্রী।
কাতারভিত্তিক সম্প্রচারমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞার তালিকায় রয়েছেন আফগানিস্তানের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধানমন্ত্রী মোল্লা আখুন্দ।

তিনি তালেবানের শক্তিশালী সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী সংস্থা ‘রেহবারি শুরা’ বা নেতৃত্ব পরিষদের প্রধান হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।

এর আগে তালেবান ১৯৯৬-১৯৯১ সালে আফগানিস্তানে ক্ষমতায় থাকার সময় তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও উপ-প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।

মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) কাবুলে এক সংবাদ সম্মেলনে তালেবান মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ বলেন, তালেবান সহ-প্রতিষ্ঠাতা আবদুল গনি বারাদার মোল্লা আখুন্দের ডেপুটি হবেন।

মোল্লা ওমরে সান্নিধ্যে থেকে তালেবানের আন্দোলন-সংগ্রামের একচ্ছত্র নেতা হয়ে উঠেছেন মোল্লা আখুন্দ। তালেবানের সূচনা হয় কান্দাহারে, আখুন্দ সেখানকারই বাসিন্দা।

জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞার প্রতিবেদনে আখুন্দকে ওমরের একজন ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও রাজনৈতিক উপদেষ্টা হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে।

তালেবানের একটি সূত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছে, তালেবানের আধ্যাত্মিক নেতা হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদার ঘনিষ্ঠ হিসেবে তিনি পরিচিত। সামরিক নেতার তুলনায় ধর্মীয় নেতা হিসেবেই তার সুনাম বেশি। তবে সামরিক বিষয়ও তার মতামত গ্রহণ করে তালেবান।

আধুনিক আফগানিস্তানের প্রতিষ্ঠাতা আহমদ শাহ দুররানি পশতুন বংশদ্ভূত। মোল্লা আখুন্দও একই বংশের।

২০০১ সালে আফগানিস্তান মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক বাহিনীর দখলে চলে যাওয়ার পর তালেবানের যে শুরা গঠিত হয়, মোল্লা মোহাম্মদ হাসান আখুন্দ সেখানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। এছাড়া তিনি ইসলামবিষয়ক বেশ কিছু বইয়ের লেখক।