বৃষ্টি উপেক্ষা করে হাজারো মানুষের অংশগ্রহণে জানাজা

বৃষ্টি উপেক্ষা করে হাজারো মানুষের অংশগ্রহণে বোয়ালখালীর শ্রীপুর বুড়া মসজিদ ঈদগাঁ মাঠে আল্লামা মুফতি মুহাম্মদ ইদ্রিছ রজভী প্রকাশ বড় হুজুরের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশের তদারকিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বুধবার (২৮ জুলাই) বেলা ১১টায় জানাজায় ইমামতি করেন হুজুরের বড় ছেলে অধ্যক্ষ মাওলানা আতাউল মোস্তফা রেজভী।

দেশ ও জাতিকে করোনা থেকে মুক্তি এবং হুজুরের রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করেন ছোট ছেলে অধ্যক্ষ শোয়াইব রেজা।
জানাজায় অংশ নেন আহলে সুন্নাত ওয়াল জমাআতের চেয়ারম্যান আল্লামা কাযী মুঈন উদ্দীন আশরাফী, ইসলামী ফ্রন্টের চেয়ারম্যান আল্লামা এমএ মান্নান, জামেয়ার অধ্যক্ষ আল্লামা সৈয়দ মোহাম্মদ অছিয়র রহমান, ইসলামী ফ্রন্টের মহাসচিব এমএ মতিন, যুগ্ম মহসচিব সওম আব্দুস সামাদ, গাউছিয়া কমিটির চেয়ারম্যান পেয়ার মোহাম্মদ, যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট মোছাহেব উদ্দিন বখতিয়ার, আল্লামা আহমদ হোসাইন আলকাদেরী, আল্লামা আবুল কাসেম নূরী, আল্লামা নূর মোহাম্মদ আলকাদেরি, বুড়া মসজিদের মতোয়ালি নুরুন্নবী, স্থানীয় থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল করিম, স্থানীয় চেয়ারম্যান মোকাররম, আওয়ামী লীগ নেতা জহুরুল আলম, অধ্যক্ষ মাওলানা আমিনুর রহমান, অধ্যক্ষ আহমদ হোসাইন আলকাদেরি, অধ্যক্ষ বদিউল আলম রেজভী, মাওলানা গোলাম রহমান আশরাফ শাহ, অধ্যক্ষ আবু তালেব বেলাল, অ্যাডভোকেট মোখতার আহমদ, এরশাদ খতিবী প্রমুখ।

জানাজার নামাজ শেষে চরণদ্বীপের মোয়াজ্জমপাড়ার নিজ পারিবারিক রেজভীয়া কবরস্থানে দাফন করা হয়। এ সময় মিলাদ কিয়াম শেষে দেশ ও জাতির কল্যাণে দোয়া ও মোনাজাত করেন আহলে সুন্নাতের শীর্ষ আলেম ও জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়ার অধ্যক্ষ আল্লামা মুফতি মোহাম্মদ অছিয়র রহমান।
এর আগে আল্লামা রজভীর কর্মময় জীবনের স্মৃতিচারণ করেন আহলে সুন্নাতের চেয়ারম্যান আল্লামা কাযী মুঈন উদ্দীন আশরাফী, ইসলামী ফ্রন্টের চেয়ারম্যান আল্লামা এমএ মান্নান, আল্লামা সৈয়দ মোহাম্মদ অছিয়র রহমান, ইসলামী ফ্রন্টের মহাসচিব এমএ মতিন, স ও ম আব্দুস সামাদ, গাউছিয়া কমিটির চেয়ারম্যান পেয়ার মোহাম্মদ, যুগ্ম মহাসচিব মোছাহেব উদ্দিন বখতিয়ার প্রমুখ।

আল্লামা রজভীকে ইমান আকিদা ও আমলের ওপর একজন খাঁটি মুত্তাকি উল্লেখ করে তারা বলেন, হুজুর আজীন আকায়েদে আহলে সুন্নাতের জন্য নিবেদিতপ্রাণ ছিলেন, এ বিষয়ে তিনি ছিলেন আপসহীন। জীবনে শান্তি ও মুক্তি পেতে হলে হুজুরের রেখে যাওয়া আদর্শ, মাদ্রাসা, মসজিদ, খানাকাসহ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান আঁকড়ে ধরতে হবে।