এক মাসের ‘লকডাউনে’ মানতে হবে ৬ বিধি-নিষেধ

    আগামী এক মাসের বিধিনিষেধ বা ‘লকডাউনে’ সব সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্বশাসিত ও বেসরকারি অফিস, ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন করে খোলা রাখার অনুমতি দিয়েছে সরকার।

    চলমান বিধিনিষেধ আগামী ১৫ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত বাড়িয়ে এ বিষয়ে বুধবার (১৬ জুন) প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

    প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সব সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্বশাসিত ও বেসরকারি অফিস, ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন করে খোলা থাকবে।

    সংক্রমণ বাড়ায় সবশেষ ১৬ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত লকডাউন বাড়ানো হয়েছিল।

    চলতি বছর করোনা সংক্রমণ বাড়ায় গত ৫ এপ্রিল থেকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়। ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত ঢিলেঢালা লকডাউন হলেও সংক্রমণ আরও বেড়ে যাওয়ায় ১৪ এপ্রিল থেকে ‘কঠোর লকডাউন’ ঘোষণা করে সরকার। পরে সিটি করপোরেশন এলাকায় গণপরিবহন চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়। তবে দূরপাল্লার বাস, লঞ্চ ও ট্রেন চলাচল ঈদ পর্যন্ত বন্ধ ছিল। পরে ২৪ মে থেকে গণপরিবহন চলার অনুমতি দেওয়া হয়।

    গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা সংক্রমণ শুরু হলে ১৮ মার্চ থেকে সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়। আর ২৬ মার্চ থেকে টানা ৬৬ দিন অফিস বন্ধ থাকে। আগামী ৩০ জুন পযর্ন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি ঘোষণা করা আছে।

    করোনা ভাইরাস সংক্রমণের কারণে চলমান বিধি-নিষেধ বা ‘লকডাউন’ ফের বাড়ানো হয়েছে। আগামী ১৫ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত বাড়িয়ে এ বিষয়ে বুধবার (১৬ জুন) প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

    প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, করোনা ভাইরাসজনিত রোগ (কোভিড-১৯) সংক্রমণের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় আগের বিধি-নিষেধ ও কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় এ বিধি-নিষেধ আরোপের সময়সীমা ১৬ জুন তারিখ মধ্যরাত থেকে ১৫ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত বাড়ানো হলো।

    বিধি-নিষেধসমূহ:
    ১. কোভিড-১৯ এর উচ্চঝুঁকি সম্পন্ন জেলাগুলোর জেলা প্রশাসকরা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট কারিগরি কমিটির সঙ্গে আলোচনা করে নিজ নিজ অধিক্ষেত্রের সংক্রমণ প্রতিরোধে বিধি মোতাবেক লকডাউনসহ কার্যকর ব্যবস্থা নিতে পারবেন।

    ২. সব সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্বশাসিত ও বেসরকারি অফিস, ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন করে খোলা থাকবে।

    ৩. সব পর্যটন কেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদনকেন্দ্র বন্ধ থাকবে।

    ৪. জনসমাবেশ হয় এ ধরনের সামাজিক (বিবাহোত্তর অনুষ্ঠান (ওয়ালিমা), জন্মদিন, পিকনিক পাটি ইত্যাদি), রাজনৈতিক ও ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান বন্ধ থাকবে।

    ৫. আবাসিক হোটেল, রেস্তোরাঁ ও খাবারের দোকান সকাল ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত খাদ্য বিক্রয়/সরবরাহ (টেকওয়ে/অনলাইন) করতে পারবে এবং আসন সংখ্যার অর্ধেক সেবাগ্রহীতাকে সেবা দিতে পারবে।

    ৬. সব ধরনের গণপরিবহন যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন সাপেক্ষে ধারণক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলাচলের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করবে।

    উল্লিখিত বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সব সিনিয়র সচিব/সচিবদের নির্দেশনা দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

    করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোনো রকম রিস্ক না নিতে লকডাউনের নির্দেশনা দিয়েছিলেন। গত ১৪ জুন মন্ত্রিসভা বৈঠকে সরকারের এ সিদ্ধান্তের কথা জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলছিল আনোয়ারুল ইসলাম।

    সংক্রমণ বাড়ায় সবশেষ ১৬ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত লকডাউন বাড়ানো হয়েছিল।

    চলতি বছর করোনা সংক্রমণ বাড়ায় গত ৫ এপ্রিল থেকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়। ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত ঢিলেঢালা লকডাউন হলেও সংক্রমণ আরও বেড়ে যাওয়ায় ১৪ এপ্রিল থেকে ‘কঠোর লকডাউন’ ঘোষণা করে সরকার। পরে সিটি করপোরেশন এলাকায় গণপরিবহন চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়। তবে দূরপাল্লার বাস, লঞ্চ এবং ট্রেন চলাচল ঈদ পর্যন্ত বন্ধ ছিল। পরে ২৪ মে থেকে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে গণপরিবহন চলার অনুমতি দেওয়া হয়।

    গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা সংক্রমণ শুরু হলে ১৮ মার্চ থেকে সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়। আর ২৬ মার্চ থেকে টানা ৬৬ দিন অফিস বন্ধ থাকে। আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি ঘোষণা করা আছে