পুলিশ ও কোর্ট থেকে জামিন পাওয়া না পাওয়া

জামিন তথা বেইল পাওয়াটা বিশ্বব্যাপী প্রতিটি নাগরিকের মৌলিক অধিকার । এটাকে বলা হয় “প্রিজাম্পসন অব বেইল” । পুলিশেরও এক্ষেত্রে যথেষ্ট ক্ষমতা আছে । সব সভ্য দেশে একটা প্রচলিত নীতি হচ্ছে, আদালতে নিরপেক্ষ বিচারের মাধ্যমে দোষী না হওয়া পর্যন্ত প্রতিটি নাগরিক নিরপরাধ বা “ইনোসেন্ট” ।তাই কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া (যেমন মার্ডার, রেইপ, ডাকাতি, সিরিয়াস ফ্রড ইত্যাদি) একজন নাগরিককে কোন অভিযোগের তদন্ত চলাকালে এমনকি মামলা চলাকালে আদালতে বা জেলে পাঠানোটা প্রচলিত আইনের মধ্যেই নিরুৎসাহিত করা হয়েছে । কিছু শর্ত দিয়ে জামিন দেয়ার নিয়ম সবখানেই আছে; যেমন তদন্তে সহযোগিতা করা, নির্দিষ্ট আবাসিক ঠিকানায় থাকা, অনুমতি ছাড়া দেশের বাইরে না যাওয়া, অভিযোগকারী ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ না করা, একটা নির্দিষ্ট এলাকার দূরে থাকা, সংবাদ মাধ্যমে মামলা সংক্রান্ত কোন কথা না বলা ইত্যাদি যার জন্য যেভাবে প্রযোজ্য এবং যদি এসব মানার নিশ্চয়তা থাকে । মহিলা, বিশেষকরে উনাদের অপ্রাপ্ত বয়স্ক সন্তান থাকলে, অসুস্থ ব্যক্তি ও কিশোরদের জন্য বিশেষ বিবেচনা থাকে ।এসব যদি প্র্যাকটিস করা না হয় তাহলে মানবাধিকার বলতে কিছুই থাকবে না । উপরোক্ত বিবেচনায় প্রথম আলোর সিনিয়র সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে পুলিশের জামিন না দিয়ে আদালতে প্রেরণ করাটা আমাকে বিস্মিত করেছে । বাংলাদেশে একটি মানবাধিকার কমিশন আছে, কিন্তু এটিকে নিরপেক্ষ ও সাহসী ভূমিকা নিতে হবে যাতে করে এই মৌলিক অধিকার তথ্য “প্রিজাম্পসন অব বেইল” এর পুলিশ ও আদালতের ক্ষমতার যথাযথ প্র্যাকটিস আর সুযোগ গরীব-ধনী নির্বিশেষে সকল নাগরিকের জন্য রাখা হয় । এ ব্যাপারে সিষ্টেমে ঘাটতি থাকলে প্রয়োজনে আইনের সংশোধন করুন |

This post is about the exercise of power by police in Bangladesh to grant bail to a citizen while a complaint is under investigation and also power of court to grant bail during a trial regardless of the person’s economic status. Also draws attention of the Human Rights Commission in Bangladesh about not granting police bail to the senior journalist Rosina Islam. – Barrister Monwar Hossain

(ব্যরিস্টার মনোয়ার হোসেন, আন্তজার্তিক খ্যাতি সম্পন্ন আইনজীবি ও জেনারেল সেক্রেটারি, হিউম্যান রাইটস ইন্টারন্যাশনাল, লন্ডন।)

(লেখক: ব্যরিস্টার মনোয়ার হোসেন, আন্তজার্তিক খ্যাতি সম্পন্ন আইনজীবি ও জেনারেল সেক্রেটারি, হিউম্যান রাইটস ইন্টারন্যাশনাল, লন্ডন।)