মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরাও দেশে এবং দেশের বাইরে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখছে

দারুল মুস্তফা মডেল মাদ্রাসার বার্ষিক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বক্তারা
চট্টগ্রাম দারুল মুস্তফা মডেল মাদ্রাসার বার্ষিক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেছেন, মাদ্রাসা আর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মান একই। যে কোন চাকরীতে মাদ্রাসার ছাত্ররাও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর মত যে কোন চাকরীর জন্য আবেদন করতে পারে। একারণে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরাও দেশে এবং দেশের বাইরে চাকরীর সুযোগ পাচ্ছে। এখানে কোন ভেদাবেদ নেই। বর্তমান সরকার এই সুযোগ করে দিয়েছেন। বক্তারা আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের জ্ঞান চর্চা আরও বাড়াতে হবে। এজন্য শিক্ষক ও অভিভাবকদের আরও সচেতনতার সাথে কাজ করতে হবে। চিন্তা শক্তি কাজে লাগিয়ে তাঁদের লক্ষস্থলে পৌঁছিয়ে দিতে হবে। শিক্ষক-অভিভাবকদের পর্যবেক্ষণ শক্তি আরও দক্ষ হতে হবে। আজ ৩০ মার্চ সকালে চট্টগ্রাম দারুল মুস্তফা মডেল মাদ্রাসার বার্ষিক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন। ফতেপুর ইউনিয়ন এর সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ¦ কবীর আহমদ এর সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন হাটহাজারী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস.এম রাশেদুল আলম। উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন ফতেহপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ শামীম। মাদ্রাসার সুপার মাওলানা মোরশেদুল আলমের সঞ্চালনায় এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন দারুল মুস্তফা মডেল মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক আলহাজ¦ মুহাম্মদ নঈমুল ইসলাম। প্রধান অতিথির বক্তব্যে এস.এম রাশেদুল আলম শিক্ষার্থীদের উদ্দ্যেশ্যে বলেন, সকলের ইচ্ছে শক্তি থাকতে হবে। চাইলে সব পারা যায় যদি চেষ্টা থাকে। নিজের বিজয় নিজেকে আনতে হবে। আমি পারবনা এটা মনে পুষে রাখলে চলবে না। মনে স্বপ্ন থাকতে হবে তাহলে ভালো অবস্থানে পৌঁছানো যাবে। তিনি আরো বলেন, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের আরও মনযোগী হয়ে পাঠ দান ও গ্রহন করতে হবে। তাহলে মাদরাসা শিক্ষার উন্নতি হবে। শিক্ষার উন্নতির জন্য শুধু শিক্ষার্থীদের উপর ছেড়ে দিলে চলবে না। অভিভাবকদেরও ভুমিকা রাখতে হবে। মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক আলহাজ্ব মুহাম্মদ নঈমুল ইসলাম বলেন, সুন্নি দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো এদেশে সত্যিকার দ্বীনচর্চা জারি রেখেছে। মাদ্রাসা শিক্ষিতরা আজ দেশের সকল ক্ষেত্রে ছড়িয়ে পড়ে দেশ জাতির খেদমতে অনন্য অবদান রাখছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। এতে উপস্থিত ছিলেন মাওলানা নুরুল হক আলকাদেরী, আলহাজ¦ আবুল হাশেম সও, আলহাজ¦ নুরুল আলম মানিক, সৈয়দ মুহাম্মদ ইসহাক, মুহাম্মদ আলী, মুহাম্মদ জাহেদুল হক, মুহাম্মদ জমির উদ্দিন জিতু, মাওলানা আব্দুল মোতালেব রাজু, মুহাম্মদ নঈম উদ্দিন, মুহাম্মদ জিয়া উদ্দিন, মুহাম্মদ আজাপদ, মুহাম্মদ আলাউদ্দিন, মুহাম্মদ ওনমান হায়দার সোহেল, মুহাম্মদ শফিউল আলম, মুহাম্মদ ফয়সাল, মুহাম্মদ রিফাত, মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, মুহাম্মদ আলী আকবর জনি, মুহাম্মদ কামরুল হাসান রুবেল, মাওলানা মুহাম্মদ আবু বকর ছিদ্দিক, মাওলানা মুহাম্মদ মোস্তফা আলম, মাওলানা মুহাম্মদ কাজী আব্দুল করিম, মাওলানা মুহাম্মদ হাফেজ নুরুল আলম, মুহাম্মদ আবু সৈয়দ মেম্বার, মুহাম্মদ ফারুক, মুহাম্মদ রিফাত, মুহাম্মদ রাসেল প্রমুখ।