রাজশাহীতে বাস চলাচল বন্ধ, যাত্রীদের দুর্ভোগ

রাজশাহীতে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ শুরু হবে আজ মঙ্গলবার বেলা দুইটায়। এই সমাবেশ কেন্দ্র করে গতকাল সোমবার থেকে রাজশাহীর সব রুটে বাস চলাচল বন্ধ আছে। আজ সকালে বাস কাউন্টারগুলো খোলা থাকলেও কেউ টিকিট বিক্রি করছে না। কোনো গাড়িও রাজশাহী থেকে ছেড়ে যাচ্ছে না, বাইরে থেকেও রাজশাহীতে কেউ ঢুকছে না। এ অবস্থায় আগের দিনের মতোই যাত্রীরা দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।

সকালে রাজশাহীর শিরোইল বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা যায়, কাউন্টারগুলো অর্ধেক করে খোলা রাখা হয়েছে। ভেতরে বাসের কর্মচারীরা বসে আছেন। কিন্তু তাঁরা কোনো টিকিট বিক্রি করছেন না। হানিফ এন্টারপ্রাইজের কাউন্টার মাস্টার শফিকুল ইসলাম বলেন, তাঁরা কোনো টিকিট বিক্রি করার অনুমতি পাননি। মালিক সমিতি অনুমতি না দিলে তাঁরা টিকিট বিক্রি করবেন না।

কাউন্টারের সামনে পাওয়া গেল ঢাকায় কর্মরত আবুল বাশার নামের একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারকে। তিনি বলেন, জরুরি ভিত্তিতে তাঁকে ঢাকায় তাঁর কর্মস্থলে ফিরতে হবে। কিন্তু বাস নেই। এখন কী করবেন, ঠিক করতে পারছেন না। চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে নাজমা বেগম তাঁর ছেলেমেয়ে নিয়ে গতকাল রাজশাহীতে এসেছিলেন চিকিৎসক দেখাতে। সকালে এসে টার্মিনালে বাচ্চাদের নিয়ে বসে আছেন বাসের অপেক্ষায়। বাস চলাচল না করায় বাড়ি ফেরার কোনো ব্যবস্থা করতে পারেননি তিনি। নাজমা বেগম বলছেন, যদি কোনো যানবাহন না পান তাহলে তাঁকে আবার বোনের বাসায় ফিরে যেতে হবে। রাজশাহী নগরের মুন্নাফের মোড় থেকে বাস কাউন্টারে এসেছেন ইউসুফ আলী। তিনি ঢাকায় যাবেন। জানতেন না যে বাস চলাচল বন্ধ আছে। বাধ্য হয়ে রিকশা নিয়ে তিনি বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন।
বিজ্ঞাপন

বাস বন্ধ থাকায় যাত্রীদের দুর্ভোগের বিষয়ে পুলিশের কিছু করার আছে কি না, জানতে চাইলে রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত উপকমিশনার গোলাম রুহুল কুদ্দুস বলেন, তাঁরা চেষ্টা করছেন কিছু করা যায় কি না।সমাবেশের প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চাইলে বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার বলেন, ২০১৮ সালে রাজশাহী বিভাগের সম্মেলনের সময় একইভাবে বাস বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। মোটরসাইকেল পর্যন্ত বন্ধ রাখা হয়েছিল। তারপরও রাজশাহী মাদ্রাসা মাঠের সমাবেশে তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না। এবারও বাস বন্ধ করে দেওয়ায় মানুষের মধ্যে এক ধরনের জেদ তৈরি হয়েছে। তাঁরা আশা করছেন, সম্মেলন সফল হবে।