ফজলুল হক চেয়ারম্যান জীবদ্দশাতেই শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছেন

মিরসরাই’এ মুক্তিযোদ্ধা এ.কে ফজলুল হক চেয়ারম্যান স্মরণায়োজনে ড. দীপক

কাব্য, ব্যাকরণ, স্মৃতি, পুরহিত্য পন্ডিত ড. দীপক রঞ্জন চক্রবর্ত্তী বলেছেন, জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান মুক্তিযোদ্ধা এ.কে ফজলুল হক চেয়ারম্যান জীবদ্দশাতেই সমাজ সেবায় শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছেন। ভালোবাসা দিয়ে মানুষের মন জয় করেছেন। আওয়ামী রাজনীতির অন্যতম পুরোধা হিসেবে উত্তর জেলার রাজনীতিতে তিনি নেতা-কর্মীদের মাঝে সর্বদা প্রাণচাঞ্চল্য তৈরির নায়ক এবং খুবই জনপ্রিয় অভিভাবক ছিলেন। রাউজানের প্রান্তিক জনপদের অধিবাসী হয়েও বঙ্গবন্ধুসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ছিলেন।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর, রাউজান থানা আওয়ামী লীগের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা, ১১নং পশ্চিম গুজরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও ইউনিয়ন পরিষদের প্রথম নির্বাচিত চেয়ারম্যান এবং যুদ্ধকালীন মুজিব বাহিনী প্রধান, বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী মুক্তিযোদ্ধা এ.কে ফজলুল হক চেয়ারম্যান-এর তেত্রিশতম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে লক্ষ্মী-নারায়ণ শালগ্রাম বিগ্রহ মন্দিরের উদ্যোগে আয়োজিত স্মরণায়োজনে সভাপতির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
মরহুমের তেত্রিশতম মৃত্যুবার্ষিকী পালনোপলক্ষে বিভিন্ন সংগঠনের উদ্যোগে বছরব্যাপী গৃহিত কর্মসূচির ধারাবাহিকতার পঞ্চম ধাপে ২৮ ফেব্রুয়ারি, রবিবার, বিকেলে মিরসরাই উপজেলার দূর্গাপুর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডে মন্দির প্রাঙ্গণে স্মরণায়োজন ও দুঃস্থদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসূচিতে পন্ডিত ড. দীপক রঞ্জন চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে ও লালখান বাজার ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি মিরসরাইর সন্তান আসাদুজ্জামান জেবিনের সঞ্চালনায় প্রধান আলোচক ছিলেন দুর্গাপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবু সুফিয়ান বিপ্লব। প্রধান বক্তা ছিলেন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির জেলা যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আবু সাদাত মোঃ সায়েম। আলোচানায় অংশ নেন-দুর্গা পূজা উদযাপন কমিটির সহ-সভাপতি অমর কৃষ্ণ দে, কানন বিহারী চক্রবর্তী, দুর্গাপুর ইউনিয়ন পূজা উদযাপন পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজন দে, কোষাধ্যক্ষ গৌড় চাঁন দে, বিজয় দে, সুমন দে, রাহুল দে, সৈকত ঘোষ, বিদ্যুৎ দে প্রমুখ। পরিবারের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন মরহুমের সুযোগ্য সন্তান আমরা করবো জয়-এর এমডি ও সিইও শওকত বাঙালি।
স্মরণায়োজন শেষে স্থানীয় দুঃস্থদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়।