সকাল, দুপুর, বিকেল, সন্ধ্যা কিংবা রাত, যে কোনো সময় হালকা নাস্তার তালিকায় প্রথমেই থাকে সিঙারা। এর সঙ্গে এক কাপ চা। আবহাওয়া যেমনই হোক না কেনো সিঙারার প্রতি ভালোবাসা থাকে একই রকম। কিন্তু পছন্দের এই খাবার ঘরে তৈরি করা প্রায় অসম্ভবের কাছাকাছি। আর সে যদি হয়ে থাকে একদমই নতুন এক রাঁধুনি তাহলে তো বিপদ। কিন্তু একটু চেষ্টা করলেই দেখবেন সিঙারা বানানো খুবই সহজ।
মজাদার এই পদ মূলত তৈরি করা হয় তিনটি ধাপে। প্রথমে খামির তৈরি করতে হয়, তারপরে ভেতরের পুর এবং সবশেষে ডুবো তেলে ভেঁজে নিতে হয়। দেখে নিন পুরো রেসিপি-
উপকরণ
* খামির তৈরি করতে যা যা লাগছে
১ কাপ আটা
১ টেবিল চামচ লবণ
২ টেবিল চামচ সয়াবিন তেল
প্রয়োজন মতো পানি
* ভেতরের পুর তৈরি করতে যা যা লাগছে
১ কাপ ছোট করে কাটা ফুলকপি
১ কাপ আলু ছোট ছোট করে, চার কোণা করে কাটা
১/২ কাপ সেদ্ধ করা মটরশুঁটি
১/৪ কাপ বাদাম
২ টেবিল চামচ আদা, মরিচ বাঁটা
১ টেবিল চামচ ডাল মসলা
২টি শুকনো মরিচ
১/২ টেবিল চামচ হলুদ গুড়ো
১/২ টেবিল চামচ মরিচ গুড়ো
১ টেবিল চামচ জিরা গুড়ো
তেল পরিমাণ মতো
পদ্ধতি
– একটি বড় বাটিতে আটা, লবণ এবং তেল একত্রে মেশাতে হবে। তাতে অল্প অল্প করে পানি দিয়ে রুটি তৈরি করার জন্য খামির করে নিতে হবে।
– খামির টিকে ভেজা তাওয়ালে দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে। এভাবে ৩০ মিনিট অথবা আরও বেশ কিছু সময় রেখে দিতে হবে।
– পুর তৈরি করার জন্য একটি প্যানে অল্প তেল দিয়ে তাতে বাদাম ভেঁজে নিতে হবে।
– বাদাম সরিয়ে নিয়ে তাতে ডাল মসলা এবং শুকনো মরিচ দিয়ে দিতে হবে। কিছুক্ষন ভেঁজে তাতে ফুলকপি, আলু, এবং মটরশুঁটি দিয়ে দিতে হবে। এবারে অল্প একটু ভাঁজতে হবে।
– ভাঁজা হয়ে গেলে তাতে হলুদ গুড়ো, আদা-মরিচের পেস্ট, মরিচ গুড়ো, জিরা গুড়ো দিয়ে ভাল করে মেশাতে হবে।
– এ পর্যায়ে তাতে লবণ, চিনি, এবং পূর্বেই ভেঁজে রাখা বাদাম গুলো দিয়ে দিতে হবে। হালকা আঁচে ৫ থেকে ৭ মিনিট ভাঁজতে হবে। ভাঁজা হয়ে গেলে চুলা বন্ধ করে দিতে হবে।
এখন সিঙারা বানানোর পালা
– ভেজা তাওয়ালে দিয়ে ঢেকে রাখার কারনে খামিরটি নিজে থেকেই অনেক বেশি নরম ও মসৃণ হয়ে গেছে। সেটাকে ছোট ছোট বলের আকার দিতে হবে, রুটি বানানোর সুবিধার্থে।
– এখন রুটি বেলে নিতে হবে। একটি রুটি কে মাঝখান থেকে দুই ভাগে কেটে নিতে হবে। একটি রুটি থেকে দুইটি সিঙ্গারা হবে।
– রুটির কাটা একটি অংশ নিতে হবে এবং তার দুই মাথায় আঙ্গুল দিয়ে পানি লাগিয়ে নিতে হবে। অতঃপর দুই মাথা একসঙ্গে করতে হবে। তাহলে এটাকে একটা কোণের মতো দেখাবে।
– কোণের ভেতরে চামচ দিয়ে পূর্বেই তৈরি করা পুর দিতে হবে। অনেক বেশি পরিমাণে দেওয়া যাবে না। যেন কোণ টিকে বন্ধ করা যায়, কোণটি ফেটে না যায় সেদিকে নজর রাখতে হবে। পুর দেওয়া হলে ভালো করে চেপে চেপে কোণ গুলো বন্ধ করে দিতে হবে। বাকি সিঙ্গারা গুলোকেও এভাবে বানিয়ে নিতে হবে।
– একটি প্যানে সিঙারাগুলোকে যেন ডুবো তেলে ভাঁজা যায় সে পরিমাণে তেল দিতে হবে। তেল গরম করে নিতে হবে।
– তেল গরম হয়ে গেলে জ্বাল কমিয়ে মাঝারি আঁচে রাখতে হবে। একে একে সিঙ্গারা গুলোকে ভেঁজে নিতে হবে। খুব বেশি কড়া করে ভাঁজা যাবেনা। হালকা বাদামী করে ভেঁজে নিতে হবে।