সর্তা খাল থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন করার সরঞ্জাম ধংস

শফিউল আলম, রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ রাউজান উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের দুর্গম পাহাড়ী এলাকা হলদিয়া ইউনিয়নের হচ্ছার ঘাট এলাকায়

২২ ফেব্রুয়ারী সোমবার সকাল ১১ টার সময়ে রাউজান উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমি অতিশ দর্শী চাকমা রাউজান থানার তিনজন পুলিশ কনষ্টেবল নিয়ে হলদিয়া ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার খায়রুল বশরের পুত্র জমিরউদ্দিনের সর্তা খাল থেকে অবৈধভাবে উত্তোলন করা বালু মহলে অভিযান চালায় । জমির উদ্দিনের অবৈধ বালু মহলে বালু উত্তোলনের সরঞ্জাম ধংস করে দেয় । জমির উদ্দিনের বালু মহলের বালু উত্তোলনের সরঞ্জাম ধংস করার পর রাউজান উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমি অতিশ দর্শী চাকমা তিন পুলিশ কনষ্টেবল নিয়ে হচ্চার ঘাটের পশ্চিম পাশে ফটিকছড়ি উপজেলার ধর্মপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের আধার মানিক তুলাতলী বায়তুল সালাত মসজিদের পুর্বে সতা খালের মধ্যে রাউজান অংশে পাওয়ার পাম্প বসিয়ে বালু উত্তোলন করে ডেলিভারী পাইপের সহায়তায় ফটিকছড়ি ধর্মপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের খালী ফসলী জমিতে বালুর স্তুপ করার দৃশ্য দেখে রাউজান অংশে সর্তার খালের মধ্যে অবৈধ বালু উত্তোলনের কাজে ব্যবহৃত পাওয়ার পাম্প ও ডেলিভারী পাইপ ধংস করার উদ্যোগে নেয় । এসময়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন কারী সন্ত্রাসী ফটিকছড়ি উপজেলার ধর্মপুর এলাকার কামাল তার সহযোগি সন্ত্রাসীদের নিয়ে কিরিচ সহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে রাউজান উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমি অতিশ দর্শী চাকমার উপর হামলার প্রচেষ্টা চালায় । এসময়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমি অতিশ দর্শী চাকমার সাথে থাকা পুলিশ সদস্যদের সাথে ও উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমি অতিশ দর্শী চাকমার সাথে বালু খেকো সন্ত্রাসী কামাল ও তার সহয়োগিদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চলে । ঘটনার সংবাদ পেয়ে হলদিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্বা শফিকুল ইসলাম রাউজানের হলদিয়া এলাকা থেকে শতাধিক লোকজন নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছলে বালু খেকো সন্ত্রাসী কামাল ও তার সহযোগিরা ফটিকছড়ি উপজেলার ধর্মপুর এলাকা দিয়ে পালিয়ে যায় । ঘটনার সংবাদ পেয়ে রাউজান উপজেলা নির্বাহী অফিসার জোনায়েদ কবির সোহাগ বিকাল ২ টা ৩০ মিনিটের সময়ে র‌্যাব ও চিকদাইর পুলিশ ফাড়ীর পুুলিশ, ফটিকছড়ি উপজেলার জাফত নগর পুলিশ ফাড়ীর পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সন্ত্রাসী বালু খেকো কামালের অবৈধ বালু উত্তোলনে সর্তার খালের মধ্যে বসানো পাওয়ার পাম্প, ডেলিভারী পাইপ ধংস করে দেয় । পর পর রাউজানের হচ্ছার ঘাট এলাকায়, হলদিয়া বড়ুয়া পাড়া শ^সানের পাশে সর্তা খাল থেকে অবৈধভাবে উত্তোলন করা বালু উত্তোলনের পাওয়ার পাম্প ও সরঞ্জাম ধংস করে দেয় । এ ব্যাপারে রাউজান উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমি অতিশ দর্শী চাকমা বলেন, অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্দ্বে অভিযান পরিচালানা করার সময়ে আমার উপর বালুখোকো সন্ত্রাসী কামাল ও তার সহয়োগিরা হামলার প্রচেষ্টা চালায় । রাউজান উপজেলা নির্বাহী অফিসার জোনায়েদ কবির সোহাগ বলেন, সর্তাখাল থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্দ্ব করার জন্য অভিযান চলাকালে উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমি অতিশ দর্শী চাকমার উপর হামলা করার চেষ্টা করে বালু খোকো সন্ত্রাসীরা । সংবাদ পেয়ে র‌্যাব ও পুলিশের সদস্যদের নিয়ে আমি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে হামলার প্রচেষ্টাকারীদের পায়নি। বালু উত্তোলনের সরঞ্জাম ধংস করে দিয়েছি । ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্বে আইনগতঃ ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য হামলাকারীদের নাম ও ঠিকানা সংগ্রহ করার জন্য ফটিকছড়ি থানার জাফত নগর পুলিশ ফাড়ির পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ।