আগের ৬ প্রতিষ্ঠান কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ের জন্য আবারও নিয়োগ পাচ্ছে

চট্টগ্রাম বন্দরের জেনারেল কার্গো বার্থের (জিসিবি) ছয়টি টার্মিনালে কন্টেইনার ও কার্গো হ্যান্ডলিংয়ের জন্য আবারও নিয়োগ পাচ্ছে আগের ৬ প্রতিষ্ঠান।

সোমবার (৮ ফেব্রুয়ারি) ছিল দরপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন।

‘সিঙ্গেল স্টেজ টু অ্যানভেলপ’ পদ্ধতিতে আহূত দরপত্র জমা করার শেষ সময় অতিক্রান্ত হওয়ার পর খোলা হয়েছে টেকনিক্যাল অফার।

বন্দর সূত্রে জানা গেছে, ছয় লটে ১৪টি দরপত্র পেশ হয়। বিদ্যমান ছয় অপারেটর প্রতিষ্ঠান এবং একমাত্র টার্মিনাল অপারেটর দুটি করে লটে দরপত্র জমা দেয়। ১ ও ৫ নম্বর লট ছাড়া অপর ৪টি লটে বর্তমান অপারেটররাই দুটি করে দরপত্র জমা করেন।

দরপত্রে অংশ নেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- ৬ নম্বর বার্থে এফ কিউ খান অ্যান্ড ব্রাদার্স, ফজলী সন্স ও সাইফপাওয়ারটেক লিমিটেড। ৯ নম্বর বার্থে এফ কিউ খান অ্যান্ড ব্রাদার্স ও ফজলী সন্স। ১০ নম্বর বার্থে বশির আহমেদ অ্যান্ড কোম্পানি এবং মেসার্স এ অ্যান্ড জে ট্রেডার্স। ১১ নম্বর বার্থে বশির আহমেদ অ্যান্ড কোম্পানি ও মেসার্স এ অ্যান্ড জে ট্রেডার্স। ১২ নম্বর বার্থে এভারেস্ট পোর্ট সার্ভিসেস, এম এইচ চৌধুরী ও সাইফপাওয়ারটেক। ১৩ নম্বর বার্থে এভারেস্ট পোর্ট সার্ভিসেস ও এম এইচ চৌধুরী।

জানা গেছে, এবার দরপত্রের অন্যতম শর্ত ছিল গত ১০ বছরের যে কোনও ২ বছরে কমপক্ষে এক লাখ টিইউস কন্টেইনার হ্যান্ডলিং এর অভিজ্ঞতা। যে কোনও সমুদ্র বন্দরের কথা দরপত্রে থাকলেও আলোচ্য শর্তটি পূরণের সক্ষমতা কেবলমাত্র চট্টগ্রাম বন্দরে নিয়োজিতদের রয়েছে। অর্থাৎ বর্তমান ৬ অপারেটর এবং টার্মিনাল অপারেটর সাইফপাওয়ারটেক লিমিটেডই কেবল এই সক্ষমতাসম্পন্ন।

এছাড়া দরপত্রে অংশগ্রহণকারিদের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে বেশকিছু শর্ত শিথিল করা হয়। অপারেটর কর্তৃক ৩০ ইউনিট ট্রাক্টর ট্রেইলার সরবরাহের শর্ত ছিল, যা ২০টি করা হয়েছে। টেন্ডার সিকিউরিটির পরিমাণ ১ কোটি টাকা থেকে ৮০ লাখ টাকা করা হয়েছে।