জোরদার করা হয়েছে ভ্যাকসিন প্রস্তুতি

জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটে তৈরি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনা ভ্যাকসিন দেশে আসার কথা জানিয়েছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। এই ডেটলাইনকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ দপ্তরসমূহ। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ভ্যাকসিন আসার পর মূল চ্যালেঞ্জ হচ্ছে স্বচ্ছতার সঙ্গে তা বিতরণ। এজন্য একটি কার্যকর প্ল্যাটফরম নির্মাণ করেছে আইসিটি অধিদপ্তর। আগামী দু’একদিনের মধ্যে এই অ্যাপ হস্তান্তর করা হতে পারে। প্রস্তুতি পর্বের সবগুলো ধাপ শেষে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহেই দেশে এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। স্বাস্থ্যসেবা বিভাগে অতিরিক্ত সচিব (জনসংখ্যা অনুবিভাগ) মো. মুহিবুর রহমান জানান, করোনা ভ্যাকসিন বিতরণ কার্যক্রমের জন্য আইসিটি অধিদপ্তর অ্যাপ তৈরি করছে। দ্রুত সময়ে ভ্যাকসিন কীভাবে মানুষের কাছে পৌঁছানো যায় সে লক্ষ্যে মন্ত্রণালয় কাজ করছে।https://13940e4350b9ad93f904d13d03e330c0.safeframe.googlesyndication.com/safeframe/1-0-37/html/container.htmlতথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের একটি সূত্র জানায়, করোনা ভ্যাকসিন গ্রহণের আবেদনের অ্যাপ প্রস্তুতির কাজ শেষ পর্যায়ে। বর্তমানে টেস্টিং ও ডিপ্লয়মেন্টের কাজ চলছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই অ্যাপটি উন্মুক্ত করা যাবে বলে আশা করা যাচ্ছে। সূত্র জানায়, করোনার ভ্যাকসিন গ্রহণে আগ্রহী ব্যক্তিকে প্রথমে অ্যাপ স্টোর থেকে অ্যাপটি ডাউনলোড করতে হবে। সেখানে ১৯টি ক্যাটাগরি থেকে ব্যবহারকারীর ক্যাটাগরি নির্বাচন করতে হবে। এরপর ব্যবহারকারীকে তার জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর ও জন্ম তারিখ প্রদান করতে হবে। এতে জাতীয় পরিচয়পত্রের সার্ভার থেকে অ্যাপটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে ব্যবহারকারীর সকল তথ্য গ্রহণ করবে। এরপর ব্যবহারকারীকে তার চিকিৎসা সংক্রান্ত কিছু তথ্য সরবরাহ করতে হবে। ভ্যাকসিন গ্রহণে ইচ্ছুক ব্যক্তির ডায়াবেটিস, ক্যান্সার, উচ্চ রক্তচাপ কিংবা অন্য কোনো জটিল অসুখ আছে কিনা তা জানতে চাইবে। এসব তথ্য দেয়ার পর আবেদনকারীকে তার বর্তমান ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর দিতে হবে। ওই নম্বরে একটি সাময়িক পাসওয়ার্ড (ওটিপি) পাঠানো হবে। এই ওটিপি দিয়ে অ্যাপে প্রবেশের পর আবেদনকারী একটি ভার্চ্যুয়াল কার্ড দেখতে পাবেন। সেখানে কখন ও কোথায় আবেদনকারীকে প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ ভ্যাকসিন প্রদান করা হবে সেই তথ্য থাকবে।