খুটাখালীর ছড়া ঘোনায় আদালতের ১৪৪ ধারা (বারিত) আদেশ জারী

কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নের মেধাকচ্ছপিয়া মৌজার ছড়াঘোনা এলাকায় ১১৪ পরিবারের মালিকানাধীন ১২৫ একর লবণ মাঠ ও চিংড়ি জমি দখলে নিতে হামলা ও গুলিবর্ষণের ঘটনায় দ্বিতীয় পক্ষের বিরুদ্ধে অবশেষে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালত কক্সবাজারে ফৌজদারী কার্যবিধির ১৪৪ ধারা (বারিত) আদেশ জারী করা হয়েছে।

গত ১৩ জানুয়ারী অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কক্সবাজার মোহাঃ শাহজান আলী স্বাক্ষরিত (স্মারক নং ১৬৭/২০২১) এক আদেশনামায় এ তথ্য জানা গেছে।

মামলার বাদী ১১৪ পরিবারের পক্ষে জাকেরা বেগম। মামলা নং ১৮২/২০২১।

আদালত বিরোধীয় জায়গার বিষয়ে সরজমিন তদন্ত পুর্বক মতামত দেয়ার জন্য চকরিয়া থানার ওসি ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) চকরিয়াকে নির্দেশ দিয়েছেন।

এদিকে গত ৩১ ডিসেম্বর ঘেরে হামলা ও লুটপাটের ঘটনায় চকরিয়া থানায় ৯ জনের নাম উল্লেখ্য ছাড়াও আরো ১৫-২০জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে একটি এজাহার দিয়েছেন জমি মালিকপক্ষের অংশিদার ১১৪ পরিবারের প্রতিনিধি জাকেরা বেগম (৪৫)।

অপরদিকে একই ঘটনায় চকরিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা নং ১৮/২১।

এজাহারনামীয় আসামিরা হলেন বাঁশখালী পুইছড়ি এলাকার সুলতান গণি প্রকাশ লেদু মিয়া, মোহাম্মদ লেদু, চকরিয়া পৌরসভার দক্ষিন কাহারিয়াঘোনার জমির উদ্দিন, চিরিঙ্গা ইউনিয়নের বাসিন্দা জালাল উদ্দিন, ছরওয়ার আলম, মো.ছুট্টু, জাফর আলম প্রকাশ সিআইপি জাফর, ডুলাহাজারা ইউনিয়নের কাটাখালী গ্রামের মিজানুর রহমান ও মেধাকচ্ছপিয়ার খলিলুর রহমান।

জমি মালিকপক্ষের লোকজন জানান, বাদির এজাহারটি আমলে নিয়ে চকরিয়া থানার ওসি তদন্তের জন্য থানার এসআই মো.আবু সায়েমকে নির্দেশ দিয়েছেন এবং ঘটনাস্থলও পরিদর্শন করেছেন তিনি।

ওইসময় তিনি উল্লেখিত লবণমাঠ ও চিংড়ি জমি স্থানীয় ১১৪টি পরিবারের মালিকানাধীন খতিয়ানভুক্ত সম্পদ তা স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে জেনেছেন।

জমি মালিক পক্ষের অংশিদাররা জানায়,খুটাখালী ইউনিয়নের মেধাকচ্ছপিয়া মৌজার বিএস ৭৬ খতিয়ানের ১২৫ একর ১১ শতক চিংড়ি জমি রয়েছে স্থানীয় ১১৪ পরিবারের। এসব জমি তাঁরা ক্রয়সুত্রে মালিকানাধীন।

দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে এসব পরিবার জমি গুলোর বিপরীতে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রতিবছর যথারীতি খাজনাও (রাজস্ব) পরিশোধ করে বৈধভাবে ভোগদখল করে আসছেন।

ইতোমধ্যে সকলের নামে আলাদা জমাভাগ খতিয়ানও সৃজন হয়েছে উপজেলা ভুমি কর্মকর্তার দপ্তর থেকে।

বাদি জাকেরা বেগমসহ মালিকপক্ষের লোকজন অভিযোগ তুলেছেন, তাঁরা উল্লেখিত লবণমাঠ ও চিংড়ি জমি শান্তিপুর্ণভাবে ভোগদখল করে আসছিলেন।

তবে ভুমিদস্যু চক্রের সদস্যরা আদালতের ১৪৪ ধারা জারি থাকলেও এসব জমি অবৈধ ভাবে দখলে নিতে ফের পাঁয়তারা চালাচ্ছে।

তারা ভুমিদস্যুদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য প্রশাসনের হস্থক্ষেপ কামনা করেছেন।